বাংলাদেশ ক্রিকেটের ধারা পরিবর্তনের ভাবনায় হাথুরুসিংহে
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল, সিলেটে আগামী ২৮ নভেম্বর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। চোটের কারণে এই সিরিজে খেলা হচ্ছে না অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। দলে নেই অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল। সদ্যজাত সন্তান ও স্ত্রীর পাশে থাকতে এক মাসের ছুটি নিয়েছেন লিটন কুমার দাস। চোটের কারণে খেলছেন না দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
সব মিলিয়ে এক সঙ্গে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে টেস্ট সিরিজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এটা চ্যালেঞ্জিং হলেও ইতিবাচকভাবে ভাবছেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের প্রধান কোচ মনে করেন, তরুণ ক্রিকেটারদের সামর্থ্য যাচাইয়ের ভালো সুযোগ এটা। এ ছাড়া অভিজ্ঞরা সব সময় খেলবেন না, তাই পরিবর্তনের হাওয়াটা এখনই বইয়ে দিতে চান লঙ্কান এই কোচ। তার মতে, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ধারা পরিবর্তন করার অধ্যায়।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে না পাওয়ার ব্যাপারে হাথুরুসিংহে বলেন, 'যেকোনো দলের জন্যই এতো অভিজ্ঞদের এক সঙ্গে হারানোটা চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য, কারণ কেউ কেউ বাংলাদেশের হয়ে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে খেলছে, কেউ কেউ ১০ বছর ধরে। একদিক থেকে এটা সামনে তাকানোর সুযোগ, তরুণরা কেমন করে সেটা দেখার জন্য। অনেক দিন ধরে খেলা ক্রিকেটারদের ছাড়াই সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যও এটা সঠিক সময়। তারা অজীবন খেলবে না। তরুণ কয়েকজনের সুযোগ ভালো করার, লম্বা ক্যারিয়ার গড়ার; এটা রোমাঞ্চিত হওয়ার ব্যাপার।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের লক্ষ্য জানতে চাইলে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, 'আদর্শগতভাবে প্রতিটি দলই দেশের মাটিতে জেতার গর্ব করে। আমরাও ব্যতিক্রম নই। তো আমরা নিজেদের কন্ডিশনে ম্যাচ জেতার দিকে তাকিয়ে আছি এবং বাইরে গিয়ে লড়াই করতে চাচ্ছি। এটা আমাদের পরিকল্পনা। নিজেদের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা সম্পর্কে আমরা সচেতন। আমরা বড় কিছুর ভবিষ্যদ্বাণী করব না। তবে দেশের মাঠে আমরা যতটা সম্ভব প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টা করব এবং বিদেশের জন্য প্রস্তুত হব।'
'আপনি যদি দেখেন, আমরা এখন একটা দল তৈরি করছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা একটা পরিবর্তনের ধারা। রোমাঞ্চকর বিষয় হলো, খুব ভালো তরুণ ক্রিকেটার আছে। তবে চ্যালেঞ্জটা হলো, তারা খুব বেশি (আন্তর্জাতিক) ক্রিকেট খেলেনি। তো সামনে এগিয়ে যেতে এবং ব্যাটিং-বোলিংয়ে প্রতিটা জায়গার জন্য ক্রিকেটারদের বড় একটা পুল তৈরি করতে আমাদের ভালো পরিকল্পনা করতে হবে। অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ থাকলে দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়, যা দলকে আরও শক্তিশালী করে।' যোগ করেন তিনি।