৫০ বছর পর জাপানের টোকিওতে বোমা হামলাকারীর খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/01/27/capture_4.png)
প্রায় পাঁচ দশক ধরে আতোশি কিরিশিমার হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবিসহ 'ধরিয়ে দিন' পোস্টারের দেখা পাওয়া যায় জাপানের পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে। কিন্তু তবুও সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গিয়েছিল এই আসামি। খবর বিবিসির।
এবার ৪৯ বছর পালিয়ে থাকার পর কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে খোঁজ পাওয়া গেছে সেই ব্যক্তির।
টোকিওর একটি হাসপাতালের একজন রোগী ১৯৭০ সালের দিককার এক জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার কথা জানান। একইসাথে নিজেকে সাতোসি কিরিসিমা হিসেবে পরিচয় দেন। ১৯৭০ সালে টোকিওতে সংঘটিত কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল এই জঙ্গি সংগঠনটি।
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/01/27/capture_5.png)
কিরিসিমা মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন 'ইস্ট এশিয়া এন্টি জাপান আর্মড ফ্রন্ট' এর সাথে জড়িত ছিল। এক্ষেত্রে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল মধ্যে জাপানের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে টোকিওতে কয়েক দফা বোমা হামলার সাথে সংগঠনটি জড়িত ছিল বলে ধারণা করা হয়।
১৯৭৪ সালে 'মিটশুবিসি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের' সদর দপ্তরে এই গোষ্ঠীর হামলায় মারা যায় আট জন।
জাপানের ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি তাদের ওয়েবসাইটে 'গোলাবারুদ আইন লঙ্ঘন' এবং 'কোম্পানিগুলোতে কয়েকদফা বোমা হামলা চালানোর' অভিযোগ রয়েছে কিরিসিমার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ সালের ১৮ এপ্রিল টোকিওর গিনজা প্রদেশের এক ভবনে 'হাতে তৈরি' বোমা হামলা চালান কিরিসিমা। এ হামলায় ধ্বংস হয় ভবনের একাংশ।
তখনকার সেই কিরিসিমা এখন ৭০ বছর বয়সী। কান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভিন্ন নামে ভর্তি হন তিনি।
তবে পরে জীবনের শেষ সময়ে এসে তার আসল পরিচয় ব্যবহার করতে চান বলেই জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেখান থেকেই কিরিসিমার খোঁজ পান পুলিশ।
পুলিশ তার আসল পরিচয় সনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চালাচ্ছে। তবে তার আসল পরিচয় দেয়ার এই আকস্মিক ঘটনাটিকে আশ্চর্যজনক হিসেবেই দেখছে টোকিও পুলিশ।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান