রাখাইনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তার দেশ রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে খুব দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
আজ রবিবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর চীনা রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, 'প্রত্যাবাসন ইস্যুটি নিয়ে আমরা গভীরভাবে আলোচনা করেছি। আমরা বুঝতে পারছি যে আমরা এখন কঠিন সময় পার করছি। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাসী হওয়া দরকার।'
এ সময় রাষ্ট্রদূত অতীতে রাখাইন রাজ্যে চীনের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির কথা স্মরণ করেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, চীন তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। সেইসঙ্গে চীন আশা করে যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কাজ করে যাবে।
তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীন এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে প্রথমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও গভীর সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রত্যাশা করেন।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি অবশ্যই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি যোগ করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের ওপর চাপ দিলে মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলো জঙ্গিবাদের প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, 'আমরা অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে ফেলেছি। মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি।'