পাঠাও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম হত্যায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন তার সহকারী
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূদ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ'কে হত্যা করেননি বলে দাবি করেছেন তার ২১ বছরের ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেসে হ্যাস্পিল। এর আগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম। নিউইয়র্ক পুলিশ এ ঘটনায় দ্বিতীয় মাত্রার খুনের অভিযোগে তার ব্যক্তিগত সহকারী হ্যাস্পিলকে আটক করে।
গত রোববার আদালতে হ্যাস্পিলের নিজেকে নির্দোষ দাবি করার বিষয়টি তার আইনজীবীরা নিশ্চিত করেন। খবর সিএনএনের।
এব্যাপারে নিউইয়র্ক পুলিশের হত্যাকান্ড তদন্ত বিভাগের আইনি সহায়তাকারী একটি আইনজীবী সংস্থা জানায়, আলোচিত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার আগে নিউইর্কের স্থায়ী অধিবাসী হ্যাস্পিল কখনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেনি। এ সংস্থাটি হ্যাস্পিলকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে। তার হয়ে আদালতে মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত দুই আইনজীবী স্যাম রবার্টস ও নেভিল মিচেল অভিযুক্তের সম্পর্কে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আইনজীবী দ্বয়ের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ''পুলিশের অনুসন্ধান এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই প্রকৃত সত্য নির্ধারন করার সময় এটি নয়। এই মামলা অনেক জটিল হতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।''
বিবৃতিতে আগেভাগেই হ্যাস্পিলকে হত্যাকারী হিসেবে অনুমান না করার আহ্বানও জানানো হয় জনতার প্রতি।
এদিকে নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশে পাঠাও'য়ের পাশাপাশি নাইজেরিয়ায় গোকাডা নামের আরেকটি রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। গত মঙ্গলবার ম্যানহাটনের বাসভবন থেকে তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে নিউইয়র্ক পুলিশ।
পুলিশি সূত্র জানায়, হত্যার আগে একটি বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার অস্ত্র- টেজার গান দিয়ে তাকে অবশ করে হ্যাস্পিল। এরপর ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর তার মরদেহটি যান্ত্রিক করাতের মাধ্যমে খণ্ড-বিখন্ড করতে থাকে।
এদিকে সারাদিন ফাহিমের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার বাসার সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন তার বোন। তার কলিংবেল বাজানোর শব্দ শুনেই অভিযুক্ত হ্যাস্পিল তড়িঘড়ি করে অন্যদিক দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তার বোন অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করার পর শোয়ার ঘরে ফাহিমের খণ্ডিত মাথা, হাত এবং পা দেখতে পান।
পুলিশের দাবি, অ্যাপার্টমেন্টের সিসিটিভি ক্যামেরায় লিফট থেকে ফাহিমের পিছু নিয়ে তাকে টেজার গান দিয়ে অবশকারী একজন পুরুষকে দেখা যায়। ওই ব্যক্তিকে হ্যাস্পিল হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ।