লারার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলো, সেমিতে উঠলো আফগানিস্তান
নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুরু যেই গল্পের, সেটি চলবে অন্তত সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত। আফগানিস্তান যে উঠে গেছে টি-টোয়েণ্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে! আজ বাংলাদেশকে হারাতেই হতো আফগানদের, রশিদ খানের দল তাই করেছে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতেছে ৮ রানের ব্যবধানে।
অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলতে জয়ের বিকল্প ছিল না আফগানিস্তানের সামনে। বাংলাদেশকে হারাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক রশিদ খান। মাত্র ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ১৫০ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্বও গড়েছেন এই ডানহাতি লেগ স্পিনার।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্টার স্পোর্টসে প্রকাশিত এক ভিডিওতে সাবেক কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারকে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎবাণী করতে দেখা যায়। সেখানে কেবলমাত্র ব্রায়ান লারা আফগানিস্তানকে নিজের সেরা চারে রেখেছিলেন। লারার বাকি তিন দল ছিল নিজের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদে বাকি তিনটিই মিলেছে। আফগানিস্তানের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখায় লারাকে বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন রশিদ।
ম্যাচ শেষে রশিদ খুলে দিয়েছেন মনের জানালা। সেমি-ফাইনালে উঠে ব্রায়ান লারাকে বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন রশিদ। কারণ, একমাত্র লারাই যে মনে করেছিলেন আফগানিস্তান সেমি-ফাইনাল খেলতে পারে, 'কেবলমাত্র ব্রায়ান লারা বিশ্বাস করেছিলেন যে আমরা সেমিতে উঠতে পারব। আমরা তাকে ঠিক প্রমাণ করেছি। আমরা যখন তার সঙ্গে একটা পার্টিতে দেখা করেছি তখন তাকে বলেছিলাম যে আমরা তাকে হতাশ করব না।'
রশিদ আরও জানিয়েছেন কীভাবে আফগানিস্তান দলে সেমি-ফাইনাল খেলার বিশ্বাস এসেছে, 'নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জেতার পরই আত্মবিশ্বাস চলে এসেছিল যে আমরা সেমি-ফাইনাল খেলতে পারি। এটা অবিশ্বাস্য।' প্রথমে ব্যাট করে ১১৫ রানের সংগ্রহ গড়ে আফগানিস্তান। জিতলেও রশিদের মতে তারা রান কম করেছেন।
'আমরা ভেবেছিলাম ১৩০-১৩৫ ভালো সংগ্রহ। কিন্তু আমরা ১৫ রান কম করেছি। আমরা জানতাম যে বাংলাদেশ চালিয়ে খেলবে আর আমাদেরকে সুযোগ গুলো নিতে হবে। আমাদের অতিরিক্ত কিছু করার দরকার ছিল না, শুধুমাত্র নিজেদের পরিকল্পনামতো খেলার চেষ্টা করলেই যে হতো এটা আমরা জানতাম।'
আফগানিস্তানের জনগণকে খুশি করাই দলের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানালেন রশিদ, 'আমরা ঘরের লোকদের খুশি করতে চেয়েছি। সবাই এটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। আফগানিস্তানে এখন দারুণ উৎসব চলছে। আমাদের জন্যও এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে এর আগে এখানে পৌঁছেছি, কিন্তু এটা বিশ্বকাপ। আমার বলার ভাষা নেই যে আফগানিস্তানে এখন কতবড় উৎসব চলছে।'