‘আমরা বিশ্বের যেকোনো দলকে হারানোর বিশ্বাস নিয়ে ফিরছি’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার সেমি-ফাইনালে উঠে রূপকথার গল্পই লিখেছে আফগানিস্তান। পুরো দেশের মানুষকে আনন্দে ভাসিয়েছেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। ফাইনালে উঠতে পারলে উৎসবের রঙে বাড়তি মাত্রা যোগ হতো।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সেমি-ফাইনালে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। ম্যাচ হেসে খেলে জিতে প্রথমবারের মতো যেকোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে প্রোটিয়ারা। করুণ পরাজয়ের শিকার হয়ে স্বাভাবিকভাবেই আফগান ক্রিকেটারদের ভালো লাগার কথা নয়।
তবে রশিদ খান নিজেদের খারাপ লাগার অনুভূতির কথা জানানোর পাশাপাশি এটিও বলেছেন, তার দল বিশ্বাস সঙ্গে নিয়ে ফেরত যাচ্ছে। যেকোনো দলকে হারাতে পারার বিশ্বাস আফগানিস্তান দলে জাগ্রত হয়েছে বলে মনে করেন এই লেগ স্পিনার।
ম্যাচ পরবর্তী সময়ে রশিদ প্রথমে নিজের খারাপ লাগার কথাই জানান, 'এই রাতটা আমাদের জন্য কঠিন আরও ভালো করতে পারতাম আমরা। তবে কন্ডিশন আমাদের সেই সুযোগ দেয়নি। আপনাকে অবশ্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।'
এরপর নিজের গর্বের কথাও ব্যক্ত করেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক, 'আমরা এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করেছি। টুর্নামেন্টের আগে যদি কেউ আমাদের বলত, তোমরা সেমিফাইনাল খেলবে, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শীর্ষ কোনো দলের বিপক্ষে হেরে যাবে, আমরা তা ভালোভাবেই গ্রহণ করতাম। এটা মাত্র শুরু, যেকোনো দলকে হারানোর বিশ্বাস আমাদের আছে।
রশিদ যোগ করেন, 'আমাদের শুধু প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ শেখার অভিজ্ঞতা ছিল। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা বিশ্বাস পেয়েছি। আমরা জানি, আমাদের সামর্থ্য আছে। এখন শুধু কঠিন পরিস্থিতি, চাপের মুহূর্তগুলো সামলাতে হবে।'
বিশ্বকাপে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়েও সন্তুষ্ট আফগানিস্তান অধিনায়ক। বিশেষ করে বোলারদের কথা স্মরণ করেছেন আলাদা করে, 'আমাদের পেসাররা দারুণ বোলিং করেছে। এ কারণেই আমরা এই টুর্নামেন্টে সফলতা পেয়েছি, ভালো শুরুটা প্রয়োজন। মুজিবের চোটের কারণে কিছুটা দুর্ভাগা ছিলাম, কিন্তু পেসাররা, এমনকি নবী নতুন বলে ভালো বোলিং করেছে। তাতে আমাদের স্পিনারদের কাজটা সহজ হয়েছে।'