ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে স্পেনের রেকর্ড শিরোপা
ইতিহাস গড়ল স্পেন, প্রথম দল হিসেবে চারবার ইউরো জেতার কীর্তি গড়ল রোজারা। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বার্লিনে শিরোপা উৎসব করেছে স্পেন।
আবারও ফাইনালে হৃদয় ভাঙল ইংল্যান্ডের। টানা দ্বিতীয় ইউরো ফাইনাল হারল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ২০১২ সালের পর আবারও ইউরো জিতল স্পেন।
প্রথমার্ধের খেলা যতটা ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল, দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ছিল ততটাই পিলে চমকানোর মতো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্পেন এগিয়ে যায় নিকো উইলিয়ামসের গোলে। ২২ বছর বয়সী উইঙ্গারকে গোল বানিয়ে দেন মাত্রই ১৭ বছর পূর্ণ করা ইয়ামাল। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্প্যানিশরা। কিন্তু দ্বিতীয় গোলের দেখা না পাওয়া ম্যাচে টিকে ছিল ইংল্যান্ড।
ম্যাচের সময় গড়াতে গড়াতে ইংল্যান্ড চাপ বাড়াতে থাকে। সেটির ফলও তারা পায় ৭২ মিনিটে, বদলি নামা পালমারের দূরপাল্লার শট স্প্যানিশ ডিফেন্ডার লা নরমানের পায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে। সমতা ফেরার পর অবশ্য স্পেন ভড়কে যায়নি। দারুণ পাসিং ইংল্যান্ডের রক্ষণে ভয় ধরান দানি ওলমো-ইয়ামালরা। ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড দুবার নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন দলকে।
কিন্তু ৮৬ মিনিটে আর পারলনে পিকফোর্ড। কুকুরেয়ার দারুণ এক নিচু ক্রস থেকে পা ছুঁইয়ে স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তায় নিয়ে যান মিকেল ওয়েরজাবাল। তবে ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। গোল লাইন থেকে ডেক্লান রাইসের হেড ফেরান দানি ওলমো।
শেষ বাঁশি বাজতেই শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে স্পেন। আর টানা দ্বিতীয় ফাইনাল হারের হতাশায় নিমজ্জিত হন কেইন-বেলিংহামরা। এবারের ইউরোতে ৭ ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন, এক ইউরোতে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করার রেকর্ডও গড়েছে দে লা ফুয়েন্তের দল।