সড়কে অবরোধ, যাত্রী না পৌঁছানোয় ৩৮ ফ্লাইট ছাড়তে দেরি
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা আন্দোলনের জেরে আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের অন্তত ৩৮টি ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধের কারণে অনেক যাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারেননি। যাত্রীরা সময়মত না পৌঁছায় কয়েকটি ফ্লাইট ছেড়েছে দেরিতে।
আজ নর্দার্ন, এআইইউবি, নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তরা, কুড়িল বিশ্বরোড, নদ্দা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান কর্মসূচি করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুরো রাজধানী স্থবির হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, যানজটের কারণে কয়েক শ যাত্রী সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে বাধ্য হয়ে দুটি ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অন্যদিকে যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যাস্ট্রা।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ বিভাগ) বোসরা ইসলাম বলেন, 'যানজটের কারণে বহু যাত্রীর বিমানবন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। এ কারণে বিমানের ঢাকা-দাম্মাম ফ্লাইট বিকেল ৩টার পরিবর্তে ৩০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা-জেদ্দা ফ্লাইট দুপুর ২টা ৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কয়েক ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে।'
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, তাদের কয়েকটি ফ্লাইট ছেড়ে যেতে বিলম্ব হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন।
এয়ার অ্যাস্ট্রা জানিয়েছে, তাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন। তাদের জন্য অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম জানান, যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল, সেসব সড়কে বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনতে এপিবিএন, ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগ, অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, 'কাওলা সড়ক বর্তমানে খোলা রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দরের যাত্রীরা আসা-যাওয়া করছেন।'