অর্থপাচার মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করলেন হাইকোর্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থপাচার ও আত্মসাতের মামলাটি বাতিল চেয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলাটির বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে।
ড. ইউনূস ছাড়া বাকি আবেদনকারীরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
এরপরে ১২ জুন ওই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।
এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসসহ সাতজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ আবেদনের ওপর গত ১১ জুলাই শুনানি শেষ হয়।