রেলপথ ও মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ রেলপথ পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে মেট্রোরেলের অবস্থা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যদিও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কিছু কর্মীর ধর্মঘটের কারণে মেট্রো পরিষেবা পুনরায় চালু করতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, রেল পরিষেবা ফের সম্পূর্ণভাবে চালু করার আগে একটি ট্রায়াল রানের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী টিবিএসকে বলেছেন, "আমি শুনেছি, রেলওয়ে পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমি যতদূর জানি, সচিব মহোদয় বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করবেন এবং সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।"
রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়ে সরদার শাহাদাত আলী বলেন, "কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে, আমরা পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।"
এদিকে, এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগে করা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমটিসিএল'র উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী ধর্মঘট করছেন, এ কারণে মেট্রোরেল পরিষেবা পুনরায় চালু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এছাড়া, পরিষেবাগুলো পুনরায় শুরু করার আগে মেট্রোরেল ব্যবস্থার যথাযথ পর্যবেক্ষণ এবং ট্রায়াল রান প্রয়োজন। এ সময় ছোটখাটো মেরামতের প্রয়োজন হতে পারে, এতে পরিষেবা চালু করতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ওই কর্মকর্তা আরও ইঙ্গিত দেন, মেট্রোরেল পুনরায় চালু হলেও মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন দুটি সহসা চালু নাও হতে পারে।
সূত্রের তথ্যমতে, এই দুটি স্টেশন ছাড়া মেট্রোরেলের বগি, ট্র্যাক বা সিগন্যালিং সিস্টেমের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই এই স্টেশন দুটি বাদ রেখেই ফের চালু হতে পারে মেট্রো সার্ভিস।
এদিকে, প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলেই ট্রায়ান রান শুরু হবে বলে জানা গেছে। আর এটি সম্পন্ন হতে কত সময় লাগতে পারে, তা নির্ভর করছে টেকনিক্যাল টিমের ওপর।