গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক ড. সাইফুল মজিদের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল
গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদের পুনঃনিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করেছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফসানা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তার মেয়াদ বাতিল করা হয়। এতে জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তিনি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর পর ড. ইউনূসকে এমডির পদ থেকে সরাতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটির এমডি পদ থেকে ২০১১ সালের ১১ মে পদত্যাগ করেন ড. ইউনূস।
গ্রামীণ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী, ব্যাংকটির ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সরকার ও ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক ব্যাংকটির সদস্যরা। পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের আগেই ২০১১ সালের জানুয়ারিতে সরকার খন্দকার মোজাম্মেল হককে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনি ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
২০১৯ সালের আগস্টে মোজাম্মেল হক মারা গেলে ওই বছরের ২০২০ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদকে দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় সরকার। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল তাকে আরও দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।