নওগাঁয় ৫ সরকারি দপ্তরের দায়িত্বে এক কর্মকর্তা
নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে কর্মরত বিসিএস ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা সোহেল রানা। এই পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কর্মকর্তা সংকটের কারণে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২০ আগস্ট জেলা প্রশাসক গোলাম মওলাকে প্রত্যাহারের পর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পান সোহেল রানা। এছাড়াও তিনি নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল রানা বলেন, এক সাথে পাঁচটি চেয়ারের দায়িত্ব পালন করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। পৌরসভা ও জেলা পরিষদের কাজগুলো এখনো সেভাবে শুরু করতে পারিনি। এরপরেও নিজের অবস্থান থেকে জনগনকে সর্ব্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি জেলা প্রশাসক পদে শীঘ্রই নতুন কেউ আসবেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ অন্যান্য নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে আসছিলেন না। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং জনসেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে 'স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এবং উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ সংশোধন করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ সংশোধনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি আইনে দুটি করে নতুন ধারা যোগ করা হয়।
একটি ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কোনো মেয়র-কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান-ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যদের অপসারণ করতে পারবে।
আরেক ধারায় বলা হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।
পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে সারাদেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের মোট ৮৮৮ জন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ ও ৮৯৮ জনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।