ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: জাবি শাখার সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে অব্যাহতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেলের দেওয়া আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সহিংসতায় অংশগ্রহণের অভিযোগ থাকায় আহসান লাবিবকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হচ্ছে।'
আরও বলা হয়েছে, 'সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অব্যাহতি বহাল থাকবে।'
সেইসঙ্গে তদন্তসাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে আহসান লাবিবের শাস্তি নিশ্চিতেরও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
পৃথক এক স্ট্যাটাসে আরিফ সোহেল লিখেছেন, 'গতকাল রাতের ঘটনায় ছাত্রদল সংশ্লিষ্ট সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগসহ যেসব সাংগঠনিক পরিচয়ধারী কিংবা সাংগঠনিক পরিচয়বিহীন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তাদের প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় এনে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯তম ব্যাচের) ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা ক্যাম্পাসের প্রান্তিক গেটে গণপিটুনির শিকার হন। পরে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে আহত অবস্থায় শামীমকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর কতিপয় ব্যক্তি প্রক্টরিয়াল টিমকে না জানিয়ে জোর করে শামীমকে পাশে অবস্থিত নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যান।
ঘটনাটি জানতে পেরে নিরাপত্তা অফিস থেকে ওই ব্যক্তিদের সরিয়ে দিয়ে কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে দেন প্রক্টর। কিন্তু বেশ কয়েকজন সেই তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শামীমকে মারধর করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ শামীমকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে পুলিশের একজন কর্মকর্তা ফোন করে জানান, স্থানীয় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীম মারা গেছেন।