মুস্তাফিজ তোপ সামলে শহিদি-নবির জুুটিতে আফগানদের মাঝারি পুঁজি
শুরুতেই উইকেট নিয়ে সুর বেঁধে দিলেন তাসকিন আহমেদ। কয়েক ওভার পর তোপ দাগলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এক ওভারের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে দিক ভুলিয়ে দিলেন বাঁহাতি এই পেসার। কিছুক্ষণ পর আরও এক শিকারে আফগানাদের চাপ আরও বাড়ালেন মুস্তাফিজ। কিন্তু বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আলোর দিশা খুঁজে নিলেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ও মোহাম্মদ নবী। জুটির পর আরও কিছুটা সময় উইকেটে থেকে দলের রান বাড়ান নবি।
বুধবার দুবাইয়ের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তুলেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করার দিক থেকে এটা তাদের চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আফগানিস্তানের যাওয়া সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার মুস্তাফিজ, তাসকিন ও শরিফুল।
দ্বিতীয় ওভারেই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে রান তোলার দিকে মন দিতে পারেনি দলটি। এর মাঝে কয়েক ওভার পর যেন 'যমদূত হয়ে দেখা দেন মুস্তাফিজ। অষ্টম ওভারে তার শিকার রহমত শাহ। নিজের পরের ওভারটি করতে এসেেআরও দাপট দেখান বাঁহাতি এই পেসার। এই ওভারে তিনি ফেরান অভিষিক্ত সাদিকুল্লাহ অতল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে।
৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ঘোর সঙ্কটে পড়ে যায় আফগানিস্তান। এই চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন গুলবাদিন নাঈব ও শহিদি। কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এই জুটি বড় হয়নি। দলীয় ৭১ রানে গুলবাদিনকে থামান মুস্তাফিজ। ৩২ বলে ২২ রান করেন থামেন আফগান এই অলরাউন্ডার। মাঝ দরিয়ায় পড়ে যাওয়া দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শহিদি ও নবি।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১২২ বলে ১০৪ রানের জুটি গড়ে শহিদি ও নবি। ষষ্ঠ উইকেটে এটা তাদের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৯২ বলে ২টি চারে ৫২ রান করা শহিদিকে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর আরও কিছুটা সময় উইকেটে থাকেন নবি, ব্যাটিং করেন ৪৮ ওভার পর্যন্ত। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ৭৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৪ রানের মহাকার্যকর ইনিংস খেলেন।
শেষ দিকে নেমে দারুণ উপকারী এক ইনিংস খেলেন নাঙ্গেলিয়া খাতোরে। বাঁহাতি এই স্পিনার ২৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রান করেন, যা আফগানিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ। মুস্তাফিজ ১০ ওভারে ৫৮ রানে ৪টি উইকেট নেন। তাসকিনের শিকারও ৪ উইকেট, ১০ ওভারে তার শিকার ৫৩ রান। বাঁহাতি পেসার শরিফুল বেশি উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করেন, ৯.৪ ওভারে ৩২ রান দেন তিনি। ডানহাতি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ওভারে ৩০ রানে কোনো উইকেট পাননি।