‘কঠিন’ বোলারই পছন্দ তৌহিদ হৃদয়ের
বল হাতে দাপুটে, এমন বোলারদের অনেক ব্যাটসম্যানই এড়িয়ে যেতে চান। কারও কাছে পেসার তো কারও কাছে স্পিনার হয়ে ওঠেন যমদূত। নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটেও আছে। কিন্তু তরুণ হয়েও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম তৌহিদ হৃদয়। কঠিন বোলারদের মোকাবিলা করাই পছন্দ বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ব্যাটসম্যানের।
বয়স এখনও ২০ হয়নি। এরই মধ্যে পরিণত ভাবনার কথা হৃদয়ের মুখে। অবশ্য শুধু ভাবনাতেই নয়, মাঠেও সেটার ছাপ রাখতে দেখা যায় তাকে। তরুণ এই ক্রিকেটারের খেলা সর্বশেষ ম্যাচ যার প্রমাণ। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে নাজমুল একাদশের জয়ের নায়কদের একজন তিনি।
ইরফান শুক্কুরকে সঙ্গে নিয়ে খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে জয়ের কক্ষপথে ফেরান তৌহিদ হৃদয়। ৫২ রানের ইনিংস খেলার পথে মোকাবিলা করেন এবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিল্পবদের মতো বোলারদের। বৃহস্পতিবার তামিম একাদশের বিপক্ষে ম্যাচ তাদের। এই ম্যাচে হৃদয়কে লড়তে হবে জাতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের বিপক্ষে।
এটা মনে করিয়ে দিতেই কঠিন বোলারদের বিপক্ষে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানালেন আকবর-রাকিবুলদের এই সতীর্থ। হৃদয়ের মতে, কঠিন বোলারদের বিপক্ষে রান করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। যা ২২ গজে লড়ার জন্য ব্যাটসম্যানকে সাহস যোগায়।
হৃদয় বলেন, 'যেখানেই খেলি না কেন, নিজে থেকে চাই কঠিন বোলারদের মুখোমুখি হতে। সব সময় ভালো মানের বোলারকে মোকাবিলা করতে চাই। কারণ তাদের বিপক্ষে রান করলে অনেক আত্ববিশ্বাস পাওয়া যায়। যেহেতু এটা একটা ভালো প্রতিযোগিতা, ভালো একটা লিগ চলছে, তো সবসময় ফোকাস করব কীভাবে নিজেকে মেলে ধরা যায়। কীভাবে আরও ভালো কিছু করা যায়।'
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের তিন দলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সংখ্যাই বেশি। এতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মাঝে রান করতে পারায় তৃপ্তির ঢেকুরই তুলছেন হৃদয়, 'অনেক ভালো লাগছে। অনেক সময় পর আমরা মাঠে ফিরেছি এবং এ রকম একটা বড় টুর্নামেন্ট ভালো খেলতে পেরেছি প্রথম ম্যাচটা। একটু ভয়ে ছিলাম, যেহেতু অনেক দিন পর একটা ভালো সুযোগ এসেছে। চেষ্টা করছি সুযোগ কীভাবে কাজে লাগানো যায়। যে পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছি, সেটা প্রয়োগ করতে পেরে ভালো লাগছে।'
তামিম একাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি কঠিন হবে বলে মনে করেন হৃদয়। এই ম্যাচে আগের মতো ভুল করতে চান না তারা, 'এখানে প্রতিটা ম্যাচ অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। তামিম ভাইদের অনেক কঠিন দল। মুস্তাফিজ ভাইসহ অনেক ভালো বোলার আছে তাদের। আমরা নিজেদের দিকেই মনোযোগী, আশা করি মাঠে গিয়ে প্রয়োগ করতে পারব। প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডারে ও পুরো ম্যাচে ছোট ছোট যে ভুলগুলো হয়েছে, এই ম্যাচে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব।'
নিজেদের ফিল্ডিং বিভাগকে সবচেয়ে শক্তিশালী মনে করেন হৃদয়। পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের মতো ব্যাটসম্যানকে দলে থাকাটা বাড়তি শক্তির বলে বিশ্বাস তার, 'দলের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে আমাদের ফিল্ডিং অনেক ভালো। সবাই অনেক সজাগ থাকে, সবাই নিজের সেরাটা দিয়ে বল ফেরানোর চেষ্টা করে। সবাই নিজের দিকটায় অনেক সচেতন, আমাদের দলটা অনেক তরুণ।'
'আমাদের দলে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও ভালো ব্যাটসম্যান মুশফিক ভাই আছেন। উনি বাংলাদেশের ডিপেন্ডেবল খ্যাত, উনি দলে থাকা মানে আমরা বাড়তি আত্ববিশ্বাস পাই। আশা করি মুশফিক ভাই তাড়াতাড়ি ভালো ইনিংস খেলবে। উনাকে নিয়ে বলার কিছু নেই। যেহেতু বড় খেলোয়াড়, বড় ম্যাচেই রান করবেন। আমরাও ভালো কিছু করব।' যোগ করেন হৃদয়।