সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকায় ১ বিলিয়ন ডলারের আবাসন প্রকল্প
আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ঢাকায় ১০০ কোটি ডলারের আবাসন প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এটি হবে ঢাকার অন্যতম বৃহৎ আবাসন প্রকল্প।
'ট্রাস্ট গ্রিন সিটি' নামের আবাসিক শহর নির্মাণ প্রকল্পের জন্য মিরপুর ডিওএইচএস ও উত্তরা সংলগ্ন বাউনিয়ার ৫১ দশমিক ৯৩ একরের জমি কিনেছে আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। প্রকল্পভুক্ত এলাকায় ৬০০- ৪০০০ বর্গফুটের ৫ হাজারের বেশি অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটির পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও নির্মানের সার্বিক দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, "এটি হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতোই পরিচ্ছন্ন এবং স্মার্ট শহর হবে।"
৩০ ডিসেম্বর থেকে ফাউন্ডেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে বাউনিয়ার জোন ২, ৩ ও ৪ এর অ্যাপার্টমেন্টগুলো ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাউনিয়ার প্রায় ৪০০ বিঘার জমিকে ৫ টি সেক্টরে ভাগ করা হবে, জোন ১ ও ৫-কে বাণিজ্যিক ব্যবহার ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হবে।
প্রকল্পটির নকশা, অর্থায়ন, নির্মাণ, বিপনণ কৌশল এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত থাকবে র্যাফেলস ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এছাড়াও প্রকল্পটির ব্যবসায়িক দায়িত্ব পরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে কাপার্টিনো পাওয়ার লিমিটেড। প্রকল্পটি র্যাফেলস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড নামে পরিচিত হবে।
গত ৩০ নভেম্বর এ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পের অনুমিত মূল্য ১০০ কোটি ডলার (৮ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা) বলে জানিয়েছে র্যাফেলস ইনফ্রাস্ট্রাকচার।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট জানিয়েছে, ট্রাস্ট গ্রিন সিটি হলো বাংলাদেশ আর্মির সামাজিক অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি, স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব বান্ধব শহর নির্মাণের অত্যাধুনিক প্রকল্প।
প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া, বিভিন্ন লাইসেন্স ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নেয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করবে কাপার্টিনো পাওয়ার লিমিটেড।
র্যাফেলস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রধান নির্বাহী এরিক চু সিঙ্গাপুরের দ্য বিজনেস টাইমস-কে জানান, "বাংলাদেশে প্রথম এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার মাধ্যমে আমরা এ অঞ্চলে আমাদের উপস্থিতি জোরদার ও ভবিষ্যতে আরও ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কাজ করছি।"
বাউনিয়ায় আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অধীনে অন্যান্য প্রকল্প
বাউনিয়ার ৪০০ বিঘা জমিতে জোন-১ কে বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ বাণিজ্যিক অঞ্চলে থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক অঞ্চল, একটি বিনোদন পার্ক, একটি হাসপাতাল, একটি হোটেল এবং দুটি স্কুল।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান জানিয়েছেন, যারা প্রকল্পের কাজে ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সাথে জমি বদল করেছে, জোন-৫ এ বিশেষত তাদের আবাসনের ব্যবস্থাই করা হবে।