ইভ্যালীসহ ১০টি প্লাটফর্মের সঙ্গে কার্ডে লেনদেন স্থগিত করলো ব্র্যাক ব্যাংক
নিজ গ্রাহকদের প্রতি ইভ্যালী ও আলেশা মার্টসহ ১০টি ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কিনতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
গ্রাহকদের কাছ থেকে কার্ডের মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য নেওয়ার পরও সময়মত পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ থাকা ইভ্যালীসহ কিছু ই-কমার্স প্লাটফর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর এ সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার কার্ড হোল্ডারদের কাছে পাঠানো ই-মেইল ও মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের এ তথ্য জানিয়ে দিয়েছে ব্যাংকটি।
নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নোটিশে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিম্ন উল্লেখিত ১০টি অনলাইন মার্চেন্টদের সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ড লেনদেনে ব্যবহার করা যাবে না। এসব প্রতিষ্ঠান হলো; ইভ্যালী, আলেশা মার্ট, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদীনের প্রদীপ, কিউডটকম, বুমবুম, আদেন মার্ট ও নিডস।
"একে ব্যাংকের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত," বলে জানান ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।" তবে তিনি এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে রাজি হননি।
তবে ব্যাংকটির একজন জ্যেষ্ঠ নির্বাহী বলেছেন, গণমাধ্যমে অনলাইন শপটির ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাংকটি সতর্কতামূলক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ধরনের অনলাইন মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গ্রাহকদের লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি ব্র্যাক ব্যাংকের নিজস্ব পর্যালোচনাতেও উঠে আসে বলে জানান তিনি।
ওই নির্বাহী বলেন, ইতঃপূর্বে ইভ্যালীর বিরুদ্ধে ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে। ওই সময় ব্র্যাক ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংক মার্চেন্টটির সঙ্গে সাময়িকভাবে কার্ডে লেনদেন স্থগিত করেছিল।
এবার ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম ব্যাংক হিসেবে আলোচিত অনলাইন মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্ডে লেনদেন স্থগিত করলেও, খুব শিগগির অন্যান্য ব্যাংকও একই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে এখাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে "Evaly...reckless or clever?" এবং "The bubbles of e-commerce" শিরোনামে পৃথক দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দুটি প্রতিবেদনই বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে করা হয়েছিল।
সম্প্রতি নজরদারির বাইরে থাকা ই-কমার্স সাইটগুলোয় উচ্চ মাত্রায় আর্থিক লেনদেনের ঝুঁকির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি রিপোর্ট পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম অর্থের তুলনায় এসব প্লাটফর্মের দৃশ্যমান তেমন কোনো সম্পদ না থাকার বিষয়টিই সেখানে তুলে ধরা হয়েছিল।