২০২০ সালের ল্যাপটপ কেমন হওয়া উচিত
বর্তমান সময়ে শুধু অডিও, ভিডিও বা সিনেমা দেখতে ল্যাপটপ কেনেন না অনেকে। বিশ্বজুড়েই পণ্যটির চাহিদায় এসেছে পরিবর্তন। এ কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে ল্যাপটপের নকশা ও প্রযুক্তিতে।
একুশ শতকে প্রযুক্তি যেভাবে নিয়মিত হালনাগাদ হচ্ছে, তাতে কয়েক বছর আগের বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্যও অনেকের কাছে কয়েক যুগ পুরনো বলে মনে হয়।
তাই ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া উচিত। তা না হলে কিছুদিন ব্যবহারের পরই ল্যাপটপটি পরিবর্তন করা লাগতে পারে। ২০২০ সালে ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া জরুরি।
টাচ স্ক্রিন
জনপ্রিয়তা বাড়ায় ২০২০ সালে অনেকেই ল্যাপটপে টাচ স্ক্রিনসহ ডিসপ্লে চাইবেন। এর প্রধান কারণ দ্রুতগতি। মাউস দিয়ে কোনো কাজ করার চেয়ে টাচ করে আরও দ্রুত করা যায়।
এ ছাড়াও টাচ স্ক্রিনে যেকোনো কাজ করেও তুলনামূলক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বেশির ভাগ মানুষ। টাচ স্ক্রিন থাকা ল্যাপটপগুলো দেখতে অনেকটা সুন্দর। এগুলো কি-বোর্ডও লাগানো যায়।
নকশা ও ওজন
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাচ্ছে অনেকের রুচি। এখন অনেকেই ল্যাপটপ কেনার সময় নকশার ওপর অনেকটা গুরুত্ব দেয়।
আকার
ল্যাপটপের আকার খুব একটা সমস্যা না হলেও ভবিষ্যৎ ল্যাপটপ হালকা ও ছোট হওয়াই বেশি ভালো। তবে কিছু কিছু কাজের ওপর নির্ভর করে বড় স্ক্রিনের ল্যাপটপের চাহিদার কমতি থাকবে না।
ফিচার
২০২০ সালের ল্যাপটপে পুরোনো দিনের ফিচার (ডোয়েল কোর প্রসেসর, ১-২জিবি র্যাম, ১২০ জিবি রম) অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। এ সময়ে এসে ল্যাপটপে তিন-চারটি ইউএসবি পোর্ট ও দ্রুতগতি চাইবেন অনেকে।
সাধারণত উচ্চ রেজ্যুলেশনের গেম খেলা, ভিডিও সম্পাদনা ও গ্রাফিক্সের কাজের জন্য উচ্চগতির ল্যাপটপ কেনা জরুরি। এ জন্য প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩.০ গিগাহার্টজ বা এর বেশি হলে ভালো হয়।
প্রসেসর কোন সিরিজের (কোর আইথ্রি, ফাইভ, সেভেন) তা জেনে নিতে হবে। কেনার আগে অবশ্যই গ্রাফিক্স সক্ষমতা কেমন, তা দেখে নিতে হবে। ভিডিও সম্পাদনা ও গ্রাফিক্সের কাজের জন্য কমপক্ষে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআরথ্রি র্যাম হলে ভালো হবে।
বর্তমানে বাজারে অত্যাধুনিক কিছু গেমিং ল্যাপটপ আছে এইচপি লেনভোর মতো কোম্পানির, যেগুলো অনেককেই মুগ্ধ করবে। এ ধরনের ল্যাপটপ আপনি এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।