৫০০ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি কলম্বাসের জাহাজগুলোর
ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সমুদ্র যাত্রার অর্ধ সহস্রাব্দের বেশি সময় পার হলেও তার তিনটি জাহাজের আজও সন্ধান মেলেনি; নিনা, পিন্টা এবং সান্তা মারিয়া- জাহাজ তিনটির ভগ্নাবশেষ যেন ইতিহাস থেকে হারিয়ে গেছে!
পনের শতাব্দীর অভিযাত্রী কলম্বাস, ১৪৯২ সালের ১২ই অক্টোবর নেমেছিলেন বর্তমান বাহামাসে। তার সেই বাহামাতে অবতরণের মাধ্যমেই নতুন বিশ্বে সমাপ্তি ঘটেছিল প্রাক-কলম্বিয়ান যুগের।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, কৌতূহলী প্রত্নতাত্ত্বিকদের আজীবন চেষ্টা সত্ত্বেও সমুদ্রগামী পালতোলা সেই তিনটি জাহাজের সন্ধান কখনও পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, জাহাজগুলোর মধ্যে দু'টি ইউরোপে পৌঁছেছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত সেগুলো টিকে ছিল নাকি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তা কেউ জানেনা।
যদি কলম্বাসের জাহাজগুলো ক্যারিবিয়ানের মতো অঞ্চলে ডুবে থাকে, তবে সেগুলোকে হয়তো কাঠখেকো মোলাস্ক প্রজাতির 'সমুদ্রের ঘুণপোকা' গ্রাস করেছে।
সেইসঙ্গে প্রত্নতত্ত্ববিদ ডোনাল্ড কিথ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, ৫০০ বছরের হারিকেন ঘূর্ণিঝড়ে নিশ্চয়ই জাহাজগুলোর টিকে থাকার কথা নয়।
তিনি বলেন, "এতকাল যাবত অক্ষত থাকার চেয়ে জাহাজগুলোর ঠান্ডায়, অন্ধকারে এবং গভীর জলে হারিয়ে যাওয়ারই সম্ভাবনা বেশি"।
ইতিহাস থেকে কেবল সান্তা মারিয়ার ভাগ্যই জানা যায়। কলম্বাসের বহরে সবচেয়ে বড়, ১৫০ টনের এই জাহাজটি ১৪৯২ সালের বড়দিনে (ক্রিসমাস ডে) বর্তমান হাইতিতে পৌঁছেছিল। এরপর কলম্বাস সান্তা মারিয়ার কাঠ ব্যবহার করে 'লা নাভিদাদ' নামে একটি গ্রাম নির্মাণের আদেশ দেন।
সমুদ্রযাত্রা শেষে ছোট জাহাজ নিনা এবং পিন্টা, পরবর্তীতে নতুন পৃথিবীতে ফিরে আসতে পেরেছিল নাকি আবারও অন্য কোনো গন্তব্যে যাত্রা শুরু করেছিল, তা কখনও জানা যায়নি।
- সূত্র- নিউইয়র্ক পোস্ট