ইভ্যালির রাসেল দম্পতি চাইলে তাদের ৫০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবে: হাইকোর্ট
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাসেল তাদের নামে শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ভায়রার নামে হস্তান্তর করতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রাসেলের শ্বশুর রফিকুল আলম তালুকদার, শ্বাশুড়ি ফরিদা তালুকদার লাইলি ও ভায়রা মামুনুর রশিদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী ব্যরিস্টার তাপস কান্তি বল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আদালত বলেছেন রাসেল দম্পতি চাইলে ইভ্যালিতে তাদের শেয়ারের ৫০ শতাংশ এই তিনজনের নামে হস্তান্তর করতে পারবে।
আদালত বলেছেন, এজন্য আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মসের ফরম পূরণ করে শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু রাসেল দম্পতি কারাগারে রয়েছে, এই ফরম পূরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ডিআইজি (প্রিজনস) সহায়তা করবেন।
ওই ফরম পূরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে সেটি ইভ্যালির নতুন বোর্ডের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। বোর্ড কোনো আপত্তি না দিলে, আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। এরপর আদালত এই শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন বলে জানান ব্যরিস্টার তাপস কান্তি বল।
রাসের দম্পতির নিকাত্মীয়রা ইভ্যালি পুনর্গঠন ও পরিচালনায় অংশ নিতে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি ও ভিডিও সম্প্রচার করেছেন। যেখানে আদালতের নির্দেশা নিয়েও অনেক বিরূপ মন্তব্য এসেছে।
এর প্রেক্ষিতে আদালত তাদেরকে হজির হতে বলেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাসেলের ভাই-বোন, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালক আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ক্ষমা চান, একইসাথে ইভ্যালির পুনর্গঠন ও পরিচালনায় অংশ নিতে চান।
আদালত তাদেরকে ক্ষমা করেন এবং ইভ্যালির পরিচালনায় অংশ নিতে ওই দিন আদালত তাদেরকে লিখিত আবেদন করতে বলেন।
বৃহস্পতিবার শুধু রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রা লিখিত আবেদন করলে এই আদেশ দেন আদালত।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই তারা কারাগারে।
গত ১৮ অক্টোবর আদালত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড গঠন করেন।