জন্মের দুদিন পর মা ও বাচ্চা শিম্পাঞ্জির আবেগঘন পুনর্মিলন
মানুষের নিকটতম জীবিত আত্মীয় প্রাইমেট বর্গের শিম্পাঞ্জি। প্রাণীটির গর্ভ ধারণ আর শিশুকে লালন-পালনেও আছে মানুষের সাথে অসামান্য সাদৃশ্য। সাধারণত আট মাস গর্ভে থাকে শিশু শিম্পাঞ্জি, দুই-তিন বছর মায়ের দুধ খেয়ে থাকে। এরপরও অনেক বছর ধরে মায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক চিড়িয়াখানায় সদ্যজাত শিশু ও মা শিম্পাঞ্জির আবেগঘন পুনর্মিলনের দৃশ্য সাড়া ফেলেছে ইন্টারনেটে।
মা শিম্পাঞ্জিটির নাম মাহেলা, আর তার ছেলে কুচেজা। শারীরিক জটিলতার কারণে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার সন্তান জন্ম নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেজউইক কাউন্টি চিড়িয়াখানার দুই চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন। জন্মের পর অসুস্থ থাকায় বাচ্চা শিম্পাজিটিকে দুইদিন ধরে চিকিৎসা দিতে হয়। বাচ্চাটিকে দুইদিন আলাদা রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পর মায়ের সাথে দেখা করানোর ব্যবস্থা করা হয়।
প্রথমে যেন ছেলেকে চিনতে পারছিল না মা, তবে কুচেজা শুয়ে থেকে কম্বলের ভেতর থেকে নিজের হাতটি বাড়াতেই সন্তানকে জাপটে কোলে তুলে নেয় মাহেলা। দুই হাতে জড়িয়ে ধরে রেখে সন্তানকে আদর দিতে থাকে, কোল থেকে নামায়নি বহুক্ষণ।
মানুষের সাথে এই অসামান্য সাদৃশ্য দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তো অভীভূত-ই। সেইসাথে বন্যপ্রাণী অধিকার নিয়ে কথা বলছেন সধারণ মানুষও। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন,বন্যপ্রাণীকে তার প্রাকৃতিক আবাসস্থল থেকে দূরে আবদ্ধ রাখার প্রথা আর কতোদিন টিকে থাকবে পৃথিবীতে।
শিম্পাঞ্জিদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো প্রাকৃতিক আবাসস্থল কমে আসা, শিকার হওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ। বর্তমানে আইইউসিনের লাল তালিকাভুক্ত এ প্রাণীটি।