পর্যটনখাতে তিন লাখ মানুষ চাকরি হারাবে, জানালো পাটা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের জুন নাগাদ প্রায় ৩ লাখ পর্যটনখাতের কর্মী তাদের চাকরি হারাবেন। সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্যাসিফিক এশিয়া ট্র্যাভেল এজেন্সি (পাটা) বাংলাদেশ চেপ্টার এই অনুমান করেছে।
পাটার অনুমান, জুন নাগাদ পর্যটনখাতে ৯ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার লেনদেন হবে।
গত বুধবার সংস্থাটি তাদের এসব অনুমান সংক্রান্ত একটি সার্বিক হিসাবনিকাশ বেসামরিক বিমান চলাচল এবং পর্যটনমন্ত্রী মাহাবুব আলীকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করে। ওই চিঠিতে বর্তমান অবস্থার কারণে বেশকিছু প্রণোদনা চালু করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাটা।
এতে স্বাক্ষর করেন পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান এবং হোটেল রিজেন্সির শীর্ষ নির্বাহী শহীদ হামিদ।
চিঠিটিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে দেশের পর্যটন শিল্প একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
'শত শত পর্যটন এবং ভ্রমণ আয়োজক কোম্পানি বন্ধ হতে চলেছে, ব্যাপক সংখ্যায় ছোট হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বন্ধ হবে। আর এই মহামারির পর বেকার হয়ে পড়বেন আরও লাখ লাখ মানুষ।'
পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাপরিচালক তৌফিক রহমান জানান, পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিদ্যমান বাণিজ্যিক তথ্য সংগ্রহ করেই তারা চিঠিতে উল্লেখিত হিসাবটি প্রস্তুত করেছেন।
তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আমরা বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা, হোটেল, রিসোর্ট, ট্র্যাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর এবং পরিবহন খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
দেশের অন্যতম শীর্ষ ট্যুর অপারেটর কোম্পানি জার্নি প্লাসের এই মুখ্য নির্বাহী আরও জানান, বর্তমান হিসাবে ৩ লাখ সাড়ে ৯ হাজার কর্মী চাকরীচ্যুত হবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে পর্যটনের সকল খাতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এই অবস্থায় সরকারের কাছে জরুরি সহায়তা দেওয়ার দাবি করে পাটা।
এই ব্যাপারে চিঠিতে বলা হয়, 'উদীয়মান একটি খাত হিসাবে আমরা সরকারের কাছে প্রণোদনা বাবদ নুন্যতম এক হাজার কোটি টাকা দেশের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরা, ট্যুর অপারেটর, পর্যটকবাহী সড়ক পরিবহনখাত এবং বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোকে বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করছি ।'
'এছাড়াও আরও দুই হাজার কোটি টাকা এই মুহূর্তে সুদমুক্ত ঋণ হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া জরুরি। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার আগ পর্যন্ত আমরা গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নানা প্রকার ইউটিলিটি বিল মওকুফ করার অনুরোধ করছি।'