টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলো কানাডা
টোকিও অলিম্পিক সময় মতো শুরু হোক আর না হোক; দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত এই আসরে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নিয়ে ফেলেছে কানাডা। করোনাভাইরাস সতর্কতায় টোকিও অলিম্পিকে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটি।
প্রথম দেশ হিসেবে টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলো কানাডা। করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় টোকিও অলিম্পিকে দল পাঠানোর মতো ঝুঁকি নিতে চায় না কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটি।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঝুলে আছে টোকিও অলিম্পিকের ভাগ্য। বিশ্ব ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় এই আসরটি সময় মতো শুরু হবে নাকি পিছিয়ে যাবে, এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চার সপ্তাহ সময় নিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। কিন্তু কানাডা এ বিষয়ে অপেক্ষায় থাকতে চায় না।
আগামী জুলাইয়ে টোকিও অলিম্পিকে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে জানিয়ে দিয়েছে কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটি ও প্যারালিম্পিক কমিটি।
টোকিও অলিম্পিকে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারেও নিশ্চিত করেছে টিম কানাডা। নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে টিম কানাডা টুইট করে লিখেছে, 'কোভিড-১৯ ভাইরাসের ঝুঁকির কারণে গ্রীস্মকালীন অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ পাঠাবে না টিম কানাডা।'
আরেকটি টুইটে টিম কানাডা লিখেছে, 'পারফরম্যান্স, রেকর্ড ও মেডেলের চেয়ে এটা বড় ব্যাপার। এটা বৃহত্তর কোনও কিছুর অংশ হওয়ার বিষয়।'
কানাডার অলিম্পিক কমিটি ও প্যারালিম্পিক কমিটি যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছে, 'এই গেমসকে সামনে রেখে অনুশীলন করাটা আমাদের অ্যাথলেটদের জন্য নিরাপদ নয়। এখন অনুশীলন করা মানে অ্যাথলেটদের পরিবার, কানাডার বড় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া। সব কানাডীয়কে যেসব মানতে বলা হয়েছে, এটা তার বিরুদ্ধে যায়।'
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও সন্দীহান পূর্বনির্ধারিত সময়ে অলিম্পিক শুরু হওয়া নিয়ে। তবে স্থগিত হলেও অলিম্পিক যে বাতিল হবে না, এই ব্যাপারে আশাবাদী জাপানের প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৪ জুলাই টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা।