লুনিন বীরত্বে সিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে রিয়াল
শ্বাসরুদ্ধকর, দুর্দান্ত, অবিশ্বাস্য! যা ইচ্ছে বলতে পারেন এই ম্যাচকে। কারণ এমনই এক দারুণ রাত উপহার দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে ১২০ মিনিটের লড়াইয়েও কেউ কাউকে হারাতে পারেনি। শেষপর্যন্ত টাইব্রেকারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটিকে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়ালের সেমি-ফাইনালে ওঠার পেছনে গোলরক্ষক আন্দ্রেই লুনিনের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। পুরো ১২০ মিনিট সিটির একের পর এক আক্রমণ তো ঠেকিয়েছেনই, টাইব্রেকারে ফিরিয়েছেন বার্নার্দো সিলভা এবং মাতেও কোভাচিচের শট।
প্রথম লেগের ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচের স্মৃতি টাটকা থাকতেই দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফেবারিট ছিল সিটিই। কিন্তু স্বাগতিকদের চমকে দিয়ে ম্যাচের ১২ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রদ্রিগো। এরপর সিটি একের পর আক্রমণ শানাতে থাকে রিয়ালের বক্সে। যার বেশিরভাগই প্রতিহত করেছেন লুনিন।
তবে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে আর আটকানো যায়নি সিটিকে। কেভিন ডি ব্রুইনা সমতায় ফেরান সিটিজেনদের। জয়সূচক গোলও পেতে পারত গার্দিওলা দল, কিন্তু ডি ব্রুইনা সুযোগ মিস করেন। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই ৩০ মিনিটেও সিটি আধিপত্য বজায় রাখে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি দুদলের কেউই।
ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে প্রথম শটে সিটিকে এগিয়ে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। রিয়ালের প্রথম শট নেন লুকা মদ্রিচ, যেটি ফিরিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন। তবে সিটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট ফেরান রিয়ালের লুনিন। এরপর বেলিংহাম, লুকাস ভাজকেজ আর নাচো গোল করলে এগিয়ে যায় রিয়াল। সিটির হয়ে ফোডেন ও এডারসন গোল করলেও লাভ হয়নি। শেষ শটে রুদিগার গোল করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন।
সেমি-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে আর্সেনালকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছে বাভারিয়ানরা। ফাইনালে এই দুই দলের যেই যাক, তাদের প্রতিপক্ষ হবে বরুশিয়া ডর্ট্মুন্ড অথবা পিএসজির মধ্যে কেউ।