দেশের প্রথম টেনিস রেফারি হিসেবে হোয়াইট ব্যাজ পেয়ে মাসফিয়ার ইতিহাস
টেনিসের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয় গ্র্যান্ড স্লামকে। যা বছরে চারটি জায়গায় হয়ে থাকে। এই গ্র্যান্ড স্লামগুলোতে যারা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন, তাদের রোমাঞ্চও কম নয়। একদম সামনে থেকে বড় বড় টেনিস তারকাদের খেলা দেখার পাশাপাশি সেগুলোর বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়ার সৌভাগ্যও হয় তাদের।
এই গ্র্যান্ড স্লামগুলোতে ম্যাচ রেফারি হলে অর্জন করতে হয় গোল্ড ব্যাজ যার প্রথম ধাপ হলো হোয়াইট ব্যাজ অর্জন করা। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে যা পেয়েছেন মাসফিয়া আফরিন।
হোয়াইট ব্যাজ আন্তর্জাতিক টেনিস রেফারিংয়ের প্রাথমিক ধাপ। এরপর পর্যায়ক্রমে রেফারিরা সিলভার ও গোল্ডেন ব্যাজ অর্জন করেন। গোল্ড ব্যাজধারীরা উইম্বলডন, ইউএস ওপেন অলিম্পিকের মতো বড় ইভেন্টের খেলা পরিচালনা করার সুযোগ পান। সিলভার ব্যাজধারীরা থাকেন ডেভিস কাপ এবং এই জাতীয় খেলায়।
১৮ বছর বয়সে হোয়াইট ব্যাজের স্বীকৃতি পেয়ে ইতিহাস গড়েছেন টেনিসে বাংলাদেশের নারী রেফারি মাসফিয়া আফরিন। হোয়াইট ব্যাজ স্বীকৃতি পাওয়ায় আইটিএফ অনুমোদিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে পারবেন মাসফিয়া।
আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের স্বীকৃতি প্রাপ্ত 'আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ স্কুল' অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ২৪-২৮ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত। সেখানেই আন্তর্জাতিক রেফারি হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছেন মাসফিয়া।
ভারতের কলকাতা ও দিল্লিতে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সহকারি রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন মাসফিয়া। সেখানের পারফরম্যান্স বিবেচনায় মালয়েশিয়াতে যাওয়ার সুযোগ পান তিনি।