মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশী জেলে নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশী এক জেলে নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও এক জেলে যিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
নিহত নুর মোহাম্মদ (৩৪) টেকনাফের হোয়াইক্যং পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। আর গুলিবিদ্ধ আবুল কালাম (৩২) একই এলাকার বক্তার আহমদের ছেলে।
চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ জেলে আবুল কালাম বলেন, “পেটের দায়ে আমরা মামা-ভাগ্নে ভোররাতে নাফ নদীর বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলাম। হঠাৎ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমরা দু’জনই গুলিবিদ্ধ হই। আমি নুর মোহাম্মদকে টেনে নদীর পাড়ে নিয়ে আসি। এরপর আর কিছু জানিনা।”
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, ভোরে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারাংখালী বিওপির একদল জওয়ান সীমান্তে টহলকালে ৫নং স্লুইচ গেইট সংলগ্ন এলাকায় দুই ব্যক্তিকে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। কাছে গিয়ে দেখা যায় দুজনই গুলিবিদ্ধ এবং এদের মাঝে একজন মারা গেছেন ও অপরজন কাতরাচ্ছেন। আহত ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসার পর জিজ্ঞাসাবাদে নিহত ব্যক্তি ও তার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। পরে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সকালে কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “বিজিবির কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শুনেছি নাফনদীতে মাছ ধরারত অবস্থায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী জেলেদের উপর গুলি চালিয়েছে।”
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মেম্বার জাহেদ হোছাইন বলেন, “গুলিতে হতাহতরা অসহায়-গরীব এবং প্রকৃত জেলে। অভাবের তাড়নায় নাফ নদীতে ঠেলা জাল টানতে গিয়েই নাফনদীতে টহলরত মিয়ানমার নেভি সদস্যরা এ গুলি চালিয়েছে।”
ে বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. ফয়সাল হাসান খান বলেন, “গুলিবিদ্ধ হতাহত বাংলাদেশী দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টায় সবদিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।”