অস্ত্র হাতে সমাবেশে আচরণবিধি লঙ্ঘন, শাহজাহান ওমরকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমাবেশ করায় ঝালকাঠি ১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ড এ নোটিশ দেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঝালকাঠির জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস ছালেক জানান, আগামী ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শাহজাহান ওমরকে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই কর্মকর্তা বলেন, 'নির্বাচনের বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রার্থী দলীয় সমর্থকদের নিয়ে কোনো ধরনের শোডাউন করতে পারবেন না। এই বিধান ভঙ্গ করায় শাহজাহান ওমরকে শোকজ করা হয়েছে।'
এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কাঁঠালিয়া উপজেলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে দুটি অস্ত্রসহ উপস্থিত হয়ে নৌকায় ভোট দিতে ভোটারদের আহ্বান জানান শাহজাহান ওমর।
ওই সমাবেশে শাহজাহান ওমরের বাঁ পাশে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বসে ছিলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী। তার পাশে বসে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী বলেন, 'আমার হাতে যে শটগান ছিল, সেটি শাহজাহান ওমরের লাইসেন্সধারী। শুধু শটগান নয়, তার কোমরে আরো একটি লাইসেন্স করা পিস্তল ছিল। কথা বলার সময়ে আমাকে তিনি অস্ত্র রাখতে বলেছেন। আমি শুধু অস্ত্রটি ধরে বসেছিলাম।'
সমাবেশে নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর বলেন, 'আমি এবং বিএনপির দলবলসহ আওয়ামী লীগে মেহমান হিসেবে এসেছি। আপনারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের বরণ করে নেবেন। আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদেরকে সম্মান করলে আপনাদেরকেও আমরা সম্মান করব।'
স্থানীয় রাজনীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কাঁঠালিয়া আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং থাকতে পারবে না। অমুক লীগ, তমুক লীগ হবে না। এখানে শুধু শেখ হাসিনা গ্রুপ থাকবে।'
অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে আসার বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আইনগতভাবে অস্ত্র নিয়ে কেউ জনসমাবেশ করতে পারেন না।' ওখানে আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য ছিলেন না বলে জানান তিনি।
ঝালকাঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান মুন্সী বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারে সব প্রার্থীর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কাউকে বেশি সুবিধা দেওয়া হবে না।