চট্টগ্রামে পরিচয় 'গোপন' করে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনয়ন নিলেন আ.লীগ সভাপতি
দলীয় পরিচয় গোপন করে অন্যদলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী এম জিল্লুর করিম শরীফির বিরুদ্ধে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, তিনি বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা জমা দিতে হয়। এ কারণে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদ পড়েছেন। এ ঝামেলা এড়াতে তিনি অন্য দলের মনোনয়ন নিয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এম জিল্লুর করিম শরীফিকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া পর 'মোবাইল ফোন নষ্ট' বলে তিনি কেটে দেন। এরপর আর ফোন রিসিভ করেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কমিটিই নেই।"
তবে ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান তালুকদার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এম জিল্লুর করিম শরীফি ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১২-১৩ সালের দিকে কমিটি দেওয়া হয়। এ কমিটি এখনো বহাল আছে।"
বাঁশখালী উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, "বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বৈঠক করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "দলীয় পদে থেকে অন্য দলের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করে অন্য দলের প্রার্থী হতে পারবেন। বিষয়টি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শিল্পপতি মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম জিল্লুর করিম শরীফি সহ মোট ১০ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে ঋণখেলাপি হওয়ায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আশীষ কুমার শীল ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়।