শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই প্রথম অগ্রাধিকার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বর্তমানে সারাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই হবে তাদের প্রধান কাজ।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের ব্যবসার গতি ও কার্যক্রম ধীর হয়ে পড়েছে এবং অর্থনীতিতে; বিশেষ করে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।'
তিনি জানান, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কারণে দেশবাসীর জীবন ও জীবিকার উপর যে প্রভাব পড়েছে তা কাটিয়ে উঠতে তারা জোরালো পদক্ষেপ নেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন,' এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হলো ল এন্ড অর্ডার। এটা ঠিক হলে বাকি সব ঠিক হয়ে যাবে। সব পক্ষের কথাই হলো আমরা সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক রাখবো, সব দেশের সাথে। বড়দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্কের একটা ব্যালেন্স মেইনটেইন করতে হবে।'
সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, 'আমার পরিকল্পনা আগেও যা ছিল, এখনও তাই। আগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে করতাম, এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভেতর থেকে করার চেষ্টা করব। আমার পরিকল্পনা হলো সত্যিকার অর্থে উদার গণতান্ত্রিক পথে যেন বাংলাদেশ যাত্রা করতে পারে সেই ভিত্তিটা স্থাপন করে দেওয়া।'
আসিফ নজরুল বলেন, 'এটা আমাদের একার কাজ না, দেশবাসীর কাজ। তরুণ সমাজ আমাদের জন্য যে অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে দেশ গড়ার এই সুযোগটা যেন আমরা কাজে লাগাতে পারি।'
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'এই সরকার একটি গণঅভ্যুত্থাণ এর মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে। মানুষের এই সরকারের প্রতি আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠনের যে স্বপ্ন আমরা দেখিয়েছি বা প্রতিশ্রতি দিয়েছি, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করাই আমাদের লক্ষ্য।'
আসিফ মাহমুদ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের রাজপথেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সামাজিকভাবে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ছাত্র-জনতার দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।'