মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১০ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১০ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৮০টি দেশের তালিকায় এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম।
মঙ্গলবার (৩ মে) ছিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস৷ এ উপলক্ষ্যে ২০২২ সালের সূচক প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভারত (১৫০), পাকিস্তান (১৫৭), শ্রীলঙ্কা (১৪৬), আফগানিস্তান (১৫৬), নেপাল (৭৬), মালদ্বীপ (৮৭) এবং ভুটান (৩৩)।
সামরিক শাসনের অধীনে থাকা মিয়ানমার পিছিয়ে ১৭৬তম স্থানে রয়েছে; গতবছর তাদের অবস্থান ছিল ১৪০।
সূচকে ৩২ ধাপ এগিয়ে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি প্রদর্শন করেছে ভুটান; এছাড়াও নেপাল এগিয়েছে ৩০ ধাপ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৬.৬৩।
২০২১ সালের মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ৫০.২৯ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫২৷ তার আগের বছর, ২০২০ সালে ছিল ১৫১। ২০১৬ সাল থেকে এই বার্ষিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আর এগোয়নি।
টানা ষষ্ঠবারের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সবচেয়ে এগিয়ে নরওয়ে (স্কোর ৯২.৬৫) ৷ তারপর ক্রমান্বয়ে এসেছে ডেনমার্ক, সুইডেন, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, কোস্টারিকা, লিথুয়ানিয়া এবং লিশটেনস্টাইনের নাম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে তার ভিত্তিতে আরএসএফ গত ২০০২ সাল থেকে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশকেও সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরএসএফ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একজন সাংবাদিককে হত্যা এবং আরও তিনজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ১৩.৯২ স্কোর নিয়ে তালিকার তলানিতে (১৮০) উত্তর কোরিয়া। শেষ দশে আরও রয়েছে ইরিত্রিয়া, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, মিয়ানমার, চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, ইরাক ও সিরিয়া।
৩৮.৮২ স্কোর নিয়ে পুতিনের রাশিয়া আছে ১৫৫তম অবস্থানে; গত বছর এর অবস্থান ছিল ১৫০। আবার চীন এ বছরের সূচকে এগিয়েছে দুই ধাপ (১৭৫)।