তুরস্কের ভোটযুদ্ধ! এরদোয়ানকে দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়তে হবে এখন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পদে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। তাই দ্বিতীয় দফায় আরেকবার নির্বাচন হবে দেশটিতে। খবর আল জাজিরার।
তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের ইলেকটোরাল চিফ আহমেত ইয়েনের এ তথ্য জানিয়েছেন।
কাউন্সিল জানিয়েছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯.৫ শতাংশ ভোট। আর তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারগলু পেয়েছেন ৪৪.৯৯ শতাংশ ভোট।
দুজনের কেউই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট হবে।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে তুরস্কে। আগের দুবারই এরদোয়ান প্রথম রাউন্ডেই জিতেছিলেন।
নির্বাচনে তৃতীয় প্রার্থী এটিএ অ্যালায়েন্স-এর সিনান ওগান পেয়েছেন ৫.১৭ শতাংশ ভোট। ওগানের পাওয়া এই ৫ শতাংশ ভোটই দেশটির নির্বাচনকে দ্বিতীয় রাউন্ডের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
ওগানের এই ৫ শতাংশ ভোটই দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনের নিয়তি নির্ধারক হয়ে উঠতে পারে। ওগান এই ৫ শতাংশ ভোটারকে যেদিকে ভোট দিতে বলবেন সেই প্রার্থীই নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলোর সংবাদে দেখা যায়, পার্লামেন্টের ৬০০ আসনের মধ্যে এরদোয়ানের একে পার্টি জিতেছে ২৬৬ আসনে, আর কিলিচদারগলুর রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) জিতেছে ১৬৬ আসনে।
কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প এবং বাড়তি মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই এই নির্বাচন হলো তুরস্কে। গত অক্টোবরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ৮৫ শতাংশ হয়ে যায়। আর ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে মারা যায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
২০২৩ সালের এবারের নির্বাচন বাড়তি গুরুত্ব রাখছে, কারণ এ বছরই একশো বছর পূর্তি হচ্ছে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের।
তুরস্কের এবারের নির্বাচনে ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৫০ লাখ, যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।