জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে: ইসি আনিছুর রহমান
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ইসি আনিসুর বলেন, "জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা এখনও ভোটগ্রহণের তারিখ ঠিক করিনি।"
আজ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হলো।
এর আগে, আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, "ভোটকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য শুধু সুষ্ঠু নয়, অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে হবে। জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলেই ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হবে।"
আর ভোট সুষ্ঠু করার জন্য আইনে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সিইসি আরও বলেন, "একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলেই আমরা সার্থক হবো। এরসঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে, সেটি হলো ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা)।"
"নির্বাচন কোনো সহজ কাজ নয়। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাশ করতে হয় না। বিশেষ করে, ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। তারা গণতন্ত্রের একটি বিশেষ অবস্থানে গিয়ে স্থিতু হয়েছে," যোগ করেন সিইসি।
অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।
তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, "আইনের মধ্যে থাকলেই সুষ্ঠু এবং ঝুঁকিমুক্ত ভোট করা সম্ভব। শতভাগ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতিকে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।"
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব প্রশিক্ষকদের উপদেশ দেন, 'কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ'- এই বাক্য মনে রেখে ভোটের মাঠে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, দিন যত যাচ্ছে ততই সবকিছু জটিল হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনও জটিল হয়ে গেছে। আর জটিল হওয়ার কারণে এত আইনকানুন ও এত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়।
"আমাদের নির্বাচন আইন আছে, সেগুলো আপনারা দেখে বা পড়ে নেবেন। এখানে বেশি কথা বলার চেয়ে পড়ে নিলেই ভালো। নিজে পড়লেই জানা যায় সবকিছু," বলেন তিনি।
আজ শনিবার থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ইসির প্রশিক্ষিত সাড়ে তিন হাজার এক্সপার্ট মাঠ পর্যায়ের প্রায় ৯ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রতি ব্যাচে শতাধিক প্রশিক্ষক নিয়ে তিন হাজার ২০০ জনকে টিওটি দেওয়া হবে।