বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতালের দাবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল করার দাবি জানিয়েছেন আহত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, করোনা মহামারির সময় সরকারি উদ্যোগে যেভাবে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছিল, সেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য স্পেশালাইজড (বিশেষায়িত) হাসপাতাল করা দরকার।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) 'সন্তানের পাশে অভিভাবক' ব্যানারে আয়োজিত 'ওদের ভাবনায় বাংলাদেশ' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে ঢাকার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার শিক্ষার্থী সাইফ মো. এমদাদ বলেন, 'আহতদের কারো হাত নেই, কারো পা বা চোখ নেই। আমাকে চোখের ডাক্তারের জন্য চক্ষু হাসপাতালে যেতে হয়। আবার নার্ভের ডাক্তারের জন্য অন্য হাসপাতালে ছুটতে হয়। পায়ের চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে যেতে হয়।'
তিনি বলেন, 'চলাফেরায় অনেক বেশি কষ্ট হওয়ার পরও আমাকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে। অনেক রোগী আছে যাদের অবস্থা আমার চেয়েও খারাপ। আহতদের জন্য একটি ডেকিকেটেড হাসপাতাল থাকলে এভাবে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। একটি ইউনিট দরকার যেখানে সব ধরনের ডাক্তার থাকবেন।'
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে দুই চোখে গুলিবিদ্ধ হন এমদাদ। তিনি আরও বলেন, 'চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবো কি না জানি না। ফিরে না পেলেও আক্ষেপ থাকবে না। আমি আহতদের আর্তনাদ শুনেছি, কষ্ট দেখেছি। আমাদের আহতদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।'
জুলাই ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে আহত ও শহীদ পরিবারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'এ ফাউন্ডেশনে যারা কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করবেন, তারা যেন আহত ও শহীদ পরিবারের হন। প্রয়োজনে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযোগী করতে হবে।'
এ সময় আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হওয়া আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বক্তব্য দেন।