মার্কিন সিনেট ও নিম্নকক্ষে এগিয়ে ট্রাম্পের রিপাবলিকান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনেকটা শেষের পর্যায়ে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা) সিনেট ও নিন্মকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান দল।
এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ৫১টি আসন। আর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ৪২টি আসন।
আর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ১৮৯টি আসন। আর ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ১৫৭টি আসন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্ট্রোরাল ভোটের দিক থেকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। আর ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ১৭৯ ইলেক্টোরাল ভোট।
প্রেসিডেন্ট হতে উভয় প্রার্থীর জন্য প্রয়োজন ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট। তবে গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটগুলোর ফলাফল আসতে সময় লাগতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার নজর থাকে এই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের দিকে। এগুলো হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং উইসকনসিন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সবগুলোতেই এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সাতটির মধ্যে জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা প্রায় নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পের দখলে আসতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হতে হলে কমলা হ্যারিসকে এই রাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে অবশ্যই জয় পেতে হবে। তবে এ তিনটিতেও এখন পর্যন্ত ট্রাম্পই এগিয়ে রয়েছেন।
এছাড়া ট্রাম্পের জয়ী হওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, মিসৌরি, ওহায়ো, মন্টানা, টেক্সাস, লুউসিয়ানা, সাউথ ডাকোটা, নর্থ ডাকোটা, আরকান্সাস, ইন্ডিয়ানা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, আলাবামা, সাউথ ক্যারোলাইনা, ওকলাহোমা, মিসিসিপি, টেনেসি, ফ্লোরিডা এবং অন্যান্য।
অন্যদিকে কমলা জয় পেয়েছেন, নিউ ইয়র্ক, ভারমন্ট, ইলিনয়, রোড আইল্যান্ড, কলোরাডো, ম্যাসাচুসেটস, মেরিল্যান্ড, নিউ জার্সি, ডেলাওয়্যার, কানেকটিকাট, ডিস্ট্রিক্ট অফ কলোম্বিয়া এবং অন্যান্যতে।
ট্রাম্প ২০১৬ এবং ২০২০ উভয় নির্বাচনে নর্থ ক্যারোলাইনায় জয়লাভ করেছিলেন, অন্যদিকে বাইডেন ২০২০ সালে বাকী ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলো খুব সামান্য ব্যবধানে জয় করেছিলেন।
এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি, যার অর্থ হলো প্রতিটি রাজ্যে লড়াই এখনও হাড্ডাহাড্ডি অবস্থায় রয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই অবস্থান প্রতি মিনিটে পরিবর্তিত হচ্ছে।
জাতীয় জরিপ বলছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প তার প্রচারে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। অন্যদিকে, হ্যারিস সতর্ক করেছেন যে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ গণতন্ত্রের ভিত্তিকে বিপন্ন করতে পারে।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান