তাইজুল-খালেদে শেষ ভালোর স্বস্তিতে প্রথম দিন পার
বল হাতে শুরুটা খারাপ ছিল না। ৫২ রানের মধ্যেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙা গিয়েছিল। কিন্তু টিকে থাকা ওপেনার ও তার সঙ্গে যোগ দেওয়া ব্যাটসম্যানদের তিন জনের মধ্যে দুজনই তুলে নিলেন হাফ সেঞ্চুরি। তৃতীয় জনও খেললেন মাঝারি ইনিংস। সব মিলিয়ে ৮০ ওভার পর্যন্ত দিনটা দক্ষিণ আফ্রিকারই। এর মাঝেও কিছুটা স্বস্তি মেলে তাইজুল ইসলামের স্পিনে। আর শেষ ১০ ওভারে তার সঙ্গে খালেদ আহমেদের সাফল্যে আরও স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করলো পাকিস্তান।
পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে ২৭৮ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে। অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন দিনের শেষভাগে উইকেটে যাওয়া কাইল ভেরেইনা ও ভিয়ান মুল্ডার। ভেরেইনা ১০ ও মুল্ডার শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
স্কোরকার্ডের এই চেহারা অবশ্য এমন নাও হতে পারতো। শক্ত অবস্থানে থেকে দিন শেষ করতে পারতো প্রোটিয়ারা। কিন্তু শেষ ১০ ওভার বাংলাদেশের দখলে থাকায় সেটা হয়নি। শেষ ১০ ওভারে মাত্র ১৮ রান তুলতেই গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৪ রানের ব্যবধানে ফিরে যান রায়ান টিকলটন ও টেম্বা মাভুমা। বামুভাকে খালেদ এবং রিকলটনকে তাইজুল ফিরিয়ে দেন।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সাবলীল শুরু করেন দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ ওভারে ৫২ রান যোগ করেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল আরভিয়া। ১২তম ওভারে গিয়ে আঘাত হানেন খালেদ। বাংলাদেশ পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন কুমার দাসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
প্রথম উইকেট হারানোর চাপ দলকে বুঝতে দেননি অধিনায়ক এলগার ও কিগান পিটারসেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। ৩৩তম ওভারে গিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন দিনের সেরা বোলার তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনার ফিরিয়ে দেন এলগারকে। টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া প্রোটিয়া অধিনায়ক ৮৯ বলে ১০টি চারে ৭০ রান করেন।
তৃতীয় জুটিতেও রান পায় স্বাগতিকরা। পিটারসেন ও টেম্বা বাভুমা ৫১ রান যোগ করেন। এই জুটিও ভাঙেন তাইজুল। ১২৪ বলে ৯টি চারে ৬৪ রান করা পিটারসেনকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটেও বড় রান পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমা ও রায়ান রিকলটন মিলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন।
এই জুটি ভেঙেও স্বস্তি ফেরান তাইজুল। বাংলাদেশ বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে আউট হওয়ার আগে ৮২ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪২ রান করেন রিকলটন। চার রানের ব্যবধানে বাভুমাকে আউট করে দলকে লড়াইয়ে ফেরান খালেদ। ১৬৭ বলে ৭টি চারে ৬৭ রান করেন বাভুমা। তাইজুল ৩২ ওভারে ৭৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। খালেদ ২০ ওভারে ৫৯ রানে ২ উইকেট পান।