সকালের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে বিকেলে রঙিন বাংলাদেশ
একদিনেই স্কোরকার্ডে ৩৬২ রান, ইনিংস শেষ হওয়ার আগে আলোচনায় ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ডের ব্যাপারটি। ১১ ওভার কম খেলা হওয়ায় সেটা হয়নি। তবে বাকি ৫ উইকেট দিয়ে রান পাহাড়ে চড়ার স্বপ্নে ছিল বাংলাদেশ।
যদিও দ্বিতীয় দিন সকালে দুঃস্বপ্ন নেমে আসে, ২০ রানেই নেই বাকি ৫ উইকেট। ব্যাটিংয়ের হতাশা অবশ্য বোলিংয়ে কেটে যায়। এবাদত, শরিফুলদের দাপটে অল্পতেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস। এরপর ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে শেষ বিকেলে রঙিন বাংলাদেশ।
মিরপুর টেস্টে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা ভালো করতে না পারলেও স্বস্তিতে প্রথম দিন শেষ করে। দ্বিতীয় দিন আরও ভয়ঙ্করভাবে শুরু করার পর একইভাবে চালকের আসনে থেকে দিন শেষ করলো ঘরের মাঠের দলটি।
প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রানের লিড পাওয়া বাংলাদেশ সুযোগ থাকার পরও আফগানদের ফলো-অন করায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৩৪ রান তুলেছে তারা, লিড দাঁড়িয়েছে ৩৭০ রান। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত আছেন জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির। যদিও জুটিটা বড় হয়নি। দলীয় ১৮ রানে ক্যাচ দিয়ে থামেন জয়, ১৩ বলে ৪টি চারে ১৭ রান করেন তিনি। তাতেও কৌশলে পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ।
জয়ের সঙ্গে যোগ দিয়ে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন শান্তও। এভাবেই দিনের খেলা শেষ করেছেন তারা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া জাকির ৬৪ বলে ৬টি চারে ৫৪ ও চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা শান্ত ৬৪ বলে ৮টি চারে ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে বাংলাদেশের দাপুটে বোলিংয়ে ৩৯ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। দলটির মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন, তিন রানের খাতা খুলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আফসার জাজাই। ৩৫ রান করেন নাসির জামাল। এ ছাড়া আব্দুল মালিক ১৭ ও করিম জানাত ২৩ রান করেন।
আগুনে বোলিংয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে মিরপুরে ৫ উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা জাগান এবাদত। যদিও তা হয়নি, ৪৭ রানে ৪ উইকেট পান তিনি। টেস্টে ইনিংসে এটা এবাদতের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। তরুণ পেসার শরিফুল, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি করে উইকেট পান।