বিপিএলের ফটো সেশন বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন সাকিব
১৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগের দিন ট্রফি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ফটো সেশন করার কথা ছিল দুই দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ইমরুল কায়েসের। কিন্তু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে ফটো সেশন ও দলের অনুশীলনে যোগ দেননি সাকিব।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়কের ফটো সেশন পর্ব শুরু হওয়ার কথা ছিল। আগেরদিন বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেলা সোয়া তিনটায় শুরু হওয়া ফটো সেশনে সাকিব আসেননি। কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে বরিশালের পক্ষ থেকে যোগ দেন দলটির সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ফটো সেশনের কিছুক্ষণ আগে বরিশালের মিডিয়া গ্রুপে জানানো হয়, সাকিব উপস্থিত থাকবেন না। বিবৃতিতে বলা হয়, 'ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পেটের পিড়ায় ভুগছেন। বরিশালের পক্ষে উপস্থিত থাকবে সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।'
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পেটের পীড়ার কথা বলা হলেও কারণটা ভিন্ন। একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিতে ফাইনালের আগের দিন দলের অনুশীলন ও আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশ নেননি সাকিব। অমিতাভ রেজার পরিচালনায় কোমল পানীয় সেভেন আপের বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে দিনভর ব্যস্ত ছিলেন বরিশালের অধিনায়ক।
অথচ ফটো সেশনের সময় সাকিবের পেটের পীড়ার কথা উল্লেখ করা হয়। যদিও তখন দলের পক্ষ থেকে দুই ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছিল। ফটো সেশনের আগে সাকিবকে না দেখে সাংবাদিকরা রবিশালের ম্যানেজার সাব্বির খানকে তার ব্যাপারে জানতে প্রশ্ন করেন। উত্তরে সাব্বির বলেন, 'পেটের সমস্যার কারণে সাকিব আসতে পারেননি।' ফুড পয়জনিং কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, অমন কিছুই।'
ধোঁয়াশা তৈরি হয় বরিশালের সহ-অধিনায়ক সোহানের বক্তব্যে। ফটো সেশনের পর সাকিব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গতকাল আমাদের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল, করেছি। আমার কাছে যেটা মনে হয় উনি (সাকিব) জিম বা অন্য কিছু করছে। যে কারণে হয়তো আসতে পারেননি। যে কারণে আমার এখানে আসা। আমার কাছে মনে হয় ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। এর থেকে খুব বেশি আমি জানি না।'
বিষয়টি পরিষ্কার করেননি ফরচুন বরিশালের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও। তিনি বলেছেন, 'আসলে তেমন কিছু না। কাল অনুশীলন করেছে। আজও জিম-টিম করেছে। আমি আসলে অনশীলনের জন্য পুশ করি না সেভাবে। সে তার খেলাটা জানে। পুরো বিপিএল যদি দেখেন সাকিব ব্যাট করেছেন তিন থেক চারদিন। নিজের মতো করে কাজ করেছে। আজ বললো ভালো লাগছে না, যাব না। আমি বলেছি ঠিক আছে।'
এবারের বিপিএলে নেই জৈব সুরক্ষা বলয়। ম্যানেজড ইভেন্ট ইনভাইরোমেন্ট (এমইই) প্রটোকলে অনুষ্ঠিত হয়েছে আসরটি। কড়াকড়ি কমিয়ে ক্রিকেটারদের সুবিধার্থেই নেওয়া হয় এই সুরক্ষা নীতি। তবে নিয়ম অুনযায়ী কেউ টিম হোলেটের বাইরে গেলে তাকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে।
সাকিবের ফটো সেশনে অংশ না নেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।