নেত্রকোনায় বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যু, আহত ৮
নেত্রকোনার তিন উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় দুই কৃষকসহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আটজন। নিহতদের মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলার দুইজন, খালিয়াজুরীর তিনজন ও মদনের দুইজন। আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) বেলা দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন: কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রামের বায়েজিদ মিয়া (৪২) ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুণ্ডলী গ্রামের ফজলুর রহমান (৫৫), খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের অছেক মিয়া (৩২), বিপুল মিয়া (২৮), গাজীপুর ইউনিয়নের বাতুয়াইল গ্রামের মনির হোসেন (৩০) ও মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮) এবং মাওলানা আতাবুর রহমান (২১)।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর দুইটা থেকে প্রায় তিনটা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। এ সময় কেন্দুয়া উপজেলার বৈরাটি গ্রামের কৃষক বায়েজিদ মিয়া ও কুণ্ডলী গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান তাদের নিজ নিজ বাড়ির সামনের ক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে মারা যান।
অপরদিকে খালিয়াজুরি উপজেলার জগন্নাথপুর ও বাতুয়াইল গ্রামের সাত যুবক বিকাল পৌণে তিনটার দিকে স্থানীয় পুটিয়ার খালে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তারা প্রত্যেকে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জগন্নাথপুর গ্রামের অছেক মিয়া, বিপুল মিয়া ও বাতুয়াইল গ্রামের মনির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠান।
অন্যদিকে, বিকেল তিনটার দিকে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের ছেলেরা স্থানীয় একটি পতিত জমিতে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ওই গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮) ও মাওলানা আতাবুর রহমান (২১) ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সময়ে ওই গ্রামের কিশোর রুবিন, রুমান ও তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা বেগম (৪৫) এবং চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার (৩৮) আহত হন। তাদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজি শাহনেওয়াজ, খালিয়াজুরী থানার ওসি মজিবুর রহমান ও মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম ঘটনাসমূহের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খালিয়াজুরি উপজেলার ইউএনও এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, নিহত যুবকদের মরদেহ তাদের পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছেন।