সার নিয়ে কারসাজি, ৩৮৩ ডিলার-ব্যবসায়ীকে জরিমানা
সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজির মাধ্যমে বাড়তি দামে সার বিক্রির দায়ে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৮৩ জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েট চিয়েন এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা জানান।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩ জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু জরিমানা নয়, সার কারসাজিতে জড়িত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সেজন্য লাইসেন্স বাতিলের জন্য তাদের নাম শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কাজ চলছে।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সারের মজুতে কোন সমস্যা নেই। গুদামে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। একইসাথে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বরাদ্দও বেশি দেয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও কোথাও সারের সংকটের কথা শোনা যাচ্ছে। এটি হতে পারে না। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসন বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারো গাফিলতি পাওয়া গেলে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এমওপি সার প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আগস্ট মাসে (মঙ্গলবার পর্যন্ত) সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত ১ লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবরে ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুত অনেক বেশি থাকবে।
চালের দাম শিগগিরই কমবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। জিটুজি ভিত্তিতে এ চাল আনা হচ্ছে। চাল আসতে ১৫-২০ দিন লাগতে পারে।