এমভি আবদুল্লাহর কার্গো খালাস শুরু, জাহাজে করেই দেশে ফিরবে ২৩ নাবিক
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে কার্গো (কয়লা) খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা থেকে শুরু হয় কার্গো খালাস কার্যক্রম।
সোমালিয়া উপকূল থেকে রওনা হওয়ার পর গত ২১ এপ্রিল দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায় এমভি আবদুল্লাহ। বহির্নোঙর থেকে বন্দরের জেটিতে আসে ২২ এপ্রিল রাত ১০টায়।
কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, "সোমবার রাত ১২টা থেকে এমভি আবদুল্লাহর কার্গো খালাস শুরু হয়েছে। সবকিছুই ঠিকভাবে চলছে। কার্গো রিসিভারও এসে কার্গো দেখে গেছে। কার্গো খালাস শেষ হতে সময় লাগবে ৫ দিন।"
তিনি আরো বলেন, নাবিকরা সবাই ভালো আছে, সুস্থ আছে। ২৩ জন নাবিক সবাইকে একসাথে জাহাজে করে বাংলাদেশে ফিরবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজসহ নাবিকরা দেশে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের জেটিতে পৌঁছানোর পর জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের পক্ষ থেকে জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং নাবিকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কবির গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত, সিইও মেহেরুল করিমসহ আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোজাব্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় এমভি আবদুল্লাহ। মুক্তিপণ পরিশোধ করার পর মুক্তি পেয়ে ১৩ এপ্রিল ভোররাতে সোমালিয়া উপকূল থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।
এর আগে ২০১০ সালে একই কোম্পানির এমভি জাহান মনি জাহাজও সোমালি জলসদ্যুরা ছিনতাই করেছিল। ওইসময় জাহাজে ২৫ ক্রু এবং ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ মোট ২৬ ব্যক্তি ছিলেন। মুক্তিপণ দিয়ে ১০০ দিন পর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।