যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল, তাদের কোনো দাবি আদায়ের এজেন্ডা ছিল না: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আনসার সদস্যরা গন্ডগোল করার জন্য রাত দশটার সময় প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের জাতীয়করণ করার এক 'অসম্ভব' ও 'অবাস্তব' দাবি তুলেছিল।
আজ (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে আনসার সদস্যদের হামলায় আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দেখতে ও তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সহ শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেসময় সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
আইন উপদেষ্টা বলেন, "আমরা মনে করি, গতকাল যারা আনসার বাহিনীর ছদ্মবেশে এসেছিল, তাদের কোনো দাবি আদায়ের এজেন্ডা ছিল না। দাবি আদায় হয় আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে। তারা বারবার আলাপ-আলোচনা করে সম্মত হয়ে ফিরে গেছে এবং বারবার আমাদের ঘিরে ফেলেছে। তাদের স্টকে লাঠি ছিল। আপনারা দেখেছেন, তারা মারমুখীভাবে ছাত্রদের ওপর নির্যাতন করেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারতো। জাগ্রত ছাত্রসমাজ যারা স্বৈরাচরের পতন ঘটিয়েছে, তাদের অপরিসীম ত্যাগের ভূমিকা পুরো পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।"
ড. আসিফ নজরুল বলেন, "যেই ছাত্ররা স্বৈরাচরের পতন ঘটিয়েছে, যারা আমাদের স্বপ্ন এবং যাদের ভবিষ্যতের প্রতিভূ হিসেবে দেখি– তাদেরকে রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মেরেছে। আপনারা তাদের (আনসার সদস্য) যুদ্ধাংদেহী মনোভাব দেখেছেন।"
গত দুইদিন ধরে আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার পর তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন, যার ফলে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারছিলেন না।
এ সময় খবর ছড়ায়, আনসারের একদল সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহসহ আরও অনেককে সচিবালয়ে আটকে রেখেছেন।
পরে রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন এবং মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় যান। সেখানে আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।