বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত: অভিযুক্ত চালক গ্রেপ্তার, আন্দোলন প্রত্যাহার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক জামিল হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে পটুয়াখালী জেলার খাসেরহাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, তাদের দাবির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকতা দেখানোয় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তারা আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বরিশাল–পটুয়াখালী মহাসড়কের ভোলার রাস্তার মোড়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম দুর্ঘটনায় নিহত হন। বরিশালগামী নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলসের বাসটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করে আগুন দেন। পরে গত কয়েকদিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
অভিযুক্ত চালক জামিল হোসেন পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া গ্রামের হায়দার আলির ছেলে। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে তাকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, 'পুলিশ দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার কেএম সানোয়ার পারভেজ লিটন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলসের চালক জামিল হোসেন ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা হেলপারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে নিহতের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস ১০ লাখ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ লাখ এবং বিআরটিএ পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, বরিশাল–পটুয়াখালী মহাসড়কের ভোলার রাস্তার মোড় এলাকায় ইতোমধ্যে স্পিডব্রেকার স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ফুটওভার ব্রিজ এবং ট্রাফিক বক্স স্থাপনের কাজও চলছে।