ইন্টারনেটে ধীরগতি, পাকিস্তানি ফ্রিল্যান্সারদের কাজ চলে আসছে বাংলাদেশ-ভারতে, ভিপিএনের দায় দিলেন প্রতিমন্ত্রী
পাকিস্তানজুড়ে বেশ কদিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা। অনেক জায়গায় তো ইন্টারনেট বন্ধই রয়েছে। বহু জায়গায় ইন্টারনেটের গতি একেবারেই কম। ফলে অসুবিধায় পড়েছেন দেশটির ফ্রিল্যান্সাররা।
ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গ্রাহকদের সময়মতো কাজ শেষ করে দিতে পারছেন না ফ্রিল্যান্সাররা। ফলে কাজ হারাচ্ছেন অনেকেই।
একজন ফ্রিল্যান্সার নাম না প্রকাশের শর্তে জিও টিভিকে বলেন, 'আমরা কঠিন সমস্যায় আছি। ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটির বহু মানুষ দীর্ঘ মেয়াদে ক্লায়েন্ট হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপে আমরা কোনো ফাইল পাঠাতে পারিনি, আবার আমাদের কাছে পাঠানো ফাইলও ডাউনলোড করতে পারিনি।'
বিশেষ করে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। দেশজুড়ে বহু জায়গায় গতি ধীর, আবার অনেক জায়গায় ইন্টারনেটই বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যাই দিচ্ছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, ছবি বা ভয়েস মেসেজ পাঠাতে বা ডাউনলোড করতে দীর্ঘ সময় লাগছে; প্রায়ই তা করাও যাচ্ছে না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান সরকার এক্স (আগের টুইটার) ব্লক করে দিয়েছে। ফলে নেটিজেনরা এখন ভিপিএন ব্যবহার করে এ সাইটে ঢুকছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ভিন্নমতাবলম্বীদের কন্ঠরোধ করতে ইন্টারনেটে বিধিনিষেধ আরোপ করছে পাকিস্তানের সরকার। এ উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্ট যাতে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে না পৌঁছায়, সেজন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফায়ারওয়াল ইনস্টল করেছে। সে কারণেই বড় আকারে ইন্টারনেট সেবা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে ইন্টারনেটের গতি ধীর হওয়া বা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সাজা ফাতিমা খাজা।
প্রতিমন্ত্রী উল্টো অভিযোগ করেছেন, ভিপিএনের অতিরিক্ত ব্যবহার ইন্টারনেটের গতিকে প্রভাবিত করেছে। ভিপিএন ব্যবহারের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ফোন ধীরগতির হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
রোববার (১৮ আগস্ট) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে সাজা ফাতিমা খাজা বলেন, 'পাকিস্তান সরকার ইন্টারনেট ব্লক বা গতি ধীর করেনি।' সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাটির সমাধান করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কিছু অ্যাপ ডাউনলোড হচ্ছে না বলে মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করছে। 'ভিপিএন চালু করলে ফোন ধীরগতির হয়ে যায়।'
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন) বা লোকাল ক্যাশ বাইপাস করে সরাসরি লাইভ সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করলে ওইসব সার্ভারের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এর ফলে ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, 'ফোনে ভিপিএন ব্যবহার করার সময়ও হয়তো খেয়াল করে থাকবেন, আপনার ডিভাইসের গতি আপনাআপনিই ধীর হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ট্রাফিক বাড়লে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যার ফলে কয়েকদিনের জন্য ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যায়।'
তিনি জানান, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে চারটি নতুন ইন্টারনেট ক্যাবল স্থাপন করা হচ্ছে।
এদিকে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ার পথে দেশটির অনেক ফ্রিল্যান্সারের।
একজন ফ্রিল্যান্স কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট আক্ষেপ করে বলেন, 'ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটির বহু মানুষ সম্ভাব্য দীর্ঘ মেয়াদের ক্লায়েন্ট হারিয়েছেন। এই ক্লায়েন্টরা প্রতি মাসে মোটা টাকার কাজ দিতেন। অনেক ফ্রিল্যান্সার এ টাকায় জীবন চালান।'
তিনি জানান, পাকিস্তানের অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি সময়মতো কাজ ডেলিভারি দিতে পারেননি। ফলে গ্রাহকরা অর্ডার বাতিল করছেন।
করাচির ওই ফ্রিল্যান্সার বলেন, 'গ্রাহকরা বলেছেন, তারা আরও ভালো বিকল্প খুঁজে নেবেন। আর এ সমস্যার মূল কারণ ইন্টারনেট আউটেজ।'
ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে পাকিস্তানের ফ্রিল্যান্স ব্যবসার বড় অংশ বাংলাদেশ ও ভারতে সরে গেছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
১০ বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং করছেন ফরাজ আহমেদ। তার টিম অ্যামাজনকে সেবা দেয়।
ফরাজ জিও টিভিকে বলেন, 'ইন্টারনেট বিঘ্নের কারণে পাকিস্তানের হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার ডেস্কটপে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে সমস্যায় পড়ছেন। এই ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করেন।'
ফরাজ আক্ষেপ করে বলেন, এক সপ্তাহে তার ব্যবসা ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এই ব্যবসা ভারত ও বাংলাদেশে চলে গেছে বলে জানান তিনি। 'যে কাজ আমরা ১৫-২০ মিনিটে করতাম, সেটি করতে ছয়-সাত ঘণ্টা লাগছে। আমাদের সঙ্গে কাজ করা সব ক্লায়েন্ট আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।'
তিনি জানান, পাকিস্তানে কয়েক লাখ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। তারা গ্রাম ও ছোট মফস্বল এলাকায় বসে কাজ করেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। এ সমস্যার সমাধান না হলে তারা কাজ হারাতে পারেন।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভার-এ 'ফ্রেশ অ্যাকাউন্ট' ছিল ফ্রিল্যান্সার মুহাম্মদ জুবায়েরের। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১ হাজার ডলার আয় হচ্ছিল তার।
কিন্তু ভিপিএন ব্যবহার করে ফাইভার অ্যাকাউন্টে ঢকায় জুবায়েরের অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অ্যাকাউন্টতি ব্লকই করে দেওয়া হয়। এখন তাকে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।
ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা বোলো ভি-র পরিচালক উসামা খিলজি বলেন, ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে ফাইভারের মতো ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলো পাকিস্তানি ফ্রিল্যান্সারদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে কাজ করা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ায় তরুণ মেধাবী ও দক্ষ কর্মীরা আরও বেশি সংখ্যায় দেশ ছাড়বেন। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অর্থনীতি।
ওয়্যারলেস অ্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অভ পাকিস্তানের চেয়ারম্যান শাহজাদ আরশাদ বলেন, ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যাওয়ায় ফ্রিল্যান্সাররা সময়মতো কাজ ডেলিভারি দিতে পারছেন না, অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিতে পারছেন না, গ্রাহকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখতে পারছেন না। এর ফলে সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় তারা গ্রাহকের আস্থা হারাচ্ছেন।
পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় ই-কমার্স, কল সেন্টার ও অনলাইন শ্রমশক্তির মতো খাতগুলো ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তান সফটওয়্যার হাউজেস অ্যাসোসিয়েশন সতর্কবার্তা দিয়েছে, ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান না হলে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে।
How big shots of Hasina regime now facing police grilling
জিজ্ঞাসাবাদে ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছেন পলক, দায় নিতে রাজি নন কেউই: পুলিশ
টিবিএস রিপোর্ট
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। প্রশ্ন করলেই মাথা নিচু করে কাঁদছেন, কেঁপে উঠে কুঁকড়ে যাচ্ছেন। এমনকি ৬ বছর ধরে চালানো নিজের মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের দায়-দায়িত্ব নিতেও অস্বীকার করে যাচ্ছেন।
সূত্র জানিয়েছে, পলক বলছেন, মন্ত্রণালয় তিনি চালালেও কোনো কিছু তিনি একা করেনি, সব দোষ দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের; হাসিনা ও জয়ের সঙ্গে মিলেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো।
১৯ জুলাই রিকশাচালক কামাল মিয়া পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা ঘটনা পল্টন থানায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড নেয় পল্টন থানা পুলিশ।
তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদেরকে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়। থানা-পুলিশ হত্যা মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিলেও সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
একইসঙ্গে আগেই থেকেই ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান।
তাদের প্রত্যেককেই সাধারণ বন্দিদের গারদে রাখা হয়েছে। তারা ঘুমাচ্ছেন গারদের ফ্লোরে, বিছানা পেতে।
ডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, সবার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্য আসামিদের মতোই তাদেরও থাকা ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের তুলনায় তাদের সবার স্বাস্থ্যের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
জিজ্ঞাসবাদে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেছেন, 'আমরা এখনও সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি না। তবে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অর্থপাচারের মামলা হলে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।'
তাদের খাবারের বিষয়ে জানা গেছে, ডিবি ভবনের সাততলায় থাকা বেকম্যান ক্যাফের খাবারই খাচ্ছেন তারা। আনিসুল ও সালমান এফ রহমান বাইরের হোটেলের খাবার চাইলেও তাদের দেওয়া হয়নি। চিকেন-জাতীয় খাবার পছন্দ করেন সালমান। তিনি শুক্রবার মুরগি ও ডিম দিয়ে খেয়েছেন। আর সাবেক আইনমন্ত্রী পছন্দ করেন মাছ। তিনি ডিম ও শিং মাছের ঝোল দিয়ে খেয়েছেন।
কীভাবে তাদের সময় কাটছে, জানতে চাইলে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বসে থাকেন, ঘুমান, খান এবং নামাজ পড়ে সময় কাটান তারা।
শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করার পরদিন ৬ আগস্ট বিদেশে যাওয়ার সময় পলককে আটকে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাকে বিমানে উঠতে না দিয়ে ইমিগ্রেশন হেফাজতে রাখা হয়। পরে গত ১৪ আগস্ট ঢাকার খিলক্ষেত নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গ্রেপ্তারে পর থেকেই ভেঙে পড়েন জুনাইদ আহমেদ। পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছেন, তিনি ভাবতেই পারেননি তাকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে। পরে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছেন।
সূত্রটি বলছে, পলকের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা নয়-ছয় করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ করার নামে টাকা হাতানোর চেষ্টাসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সব দায় নিজের কাঁধে নিতে নারাজ পলক। প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি একা কোনোকিছু করেননি। তার মন্ত্রণালয়ে তার ওপরে সরাসরি একজন উপদেষ্টা কাজ করতেন। ওই উপদেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় করেই সবকিছুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে ডিএমপি নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। একই মামলায় পরে শুক্রবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৮ দিনের রিমান্ডে রাখা হয় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসাকে।
পলকের মতো দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করেননি রিমান্ডে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতা আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানও।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আনিসুল হক জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেননি।
আর হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও বিদেশে পাচারের বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার প্রয়োজনে দেশে দেশের বাইরে টাকাপয়সা লেনদেন করতে হয়েছে তার। সালমান জোর গলায় বলেছেন, অবৈধভাবে কোনো টাকাই বিদেশে পাচার করেননি তিনি।
অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদে আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।
সূত্র বলছে, র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের গুম-খুনের বিষয়ে জিউয়াল আহসানকে প্রশ্ন করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।