চেলসির নতুন জার্সিতে যে কারণে কোনো স্পন্সর নেই
২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য নতুন জার্সি উন্মোচন করেছে চেলসি। তবে সেই জার্সি দেখে ক্লাবটির সমর্থকদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কেন কোনো স্পন্সরের লোগো নেই সেটিতে। কারণ, নতুন মৌসুমের জন্য এখন পর্যন্ত জার্সির স্পন্সর খুঁজে পায়নি চেলসি!
লন্ডন তো বটেই, ইংল্যান্ডেরই সবচেয়ে বড় এবং সফল ক্লাবগুলোর একটি চেলসি। সেই ক্লাবের জার্সির কোনো স্পন্সর না থাকাটা বেশ অবাক করার মতোই ব্যাপার।
তবে চেলসির নিজেদের পারফরম্যান্সই স্পন্সর খুঁজে না পাওয়ার জন্য দায়ী। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ১২ তম হয়েছে ব্লুজরা। এবার কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না তারা। ধারনা করা হচ্ছে, এই কারণেই স্পন্সর করতে আগ্রহী হচ্ছে না কেউ।
সর্বশেষ স্পন্সর থ্রি মোবাইলের সঙ্গে চেলসির চুক্তি শেষ হয়ে গেছে গত মৌসুমের শেষেই। চুক্তিটি ছিলো বেশ লোভনীয়, যা থেকে বছরে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছে চেলসি। নতুন পৃষ্ঠপোষকের সঙ্গে বছরে অন্তত ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি করতে চায় স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটি।
প্যারামাউন্ট ও স্টেক নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চেলসির আলোচনা অনেক দূর গড়ালেও শেষ পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে পারেনি চেলসি। জুয়া খেলার প্রতিষ্ঠান স্টেকের সঙ্গে চুক্তিটি সম্ভব হয়নি প্রিমিয়ার লিগ সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের আপত্তির কারণে।
চেলসি সমর্থকেরাও জুয়া খেলার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চেলসির বাণিজ্যিক চুক্তির বিপক্ষে। একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৭ শতাংশ সমর্থক চান না চেলসির জার্সিতে কোনো জুয়া খেলার প্রতিষ্ঠানের লোগো থাকুক।
মেইল অনলাইনের খবর বলছে, স্টেক নামের জুয়া খেলার প্রতিষ্ঠানটিতে আলভিন চাউ নামের একজন চীনা ধনকুবেরের বিনিয়োগ রয়েছে। চাউয়ের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
অবৈধ জুয়া ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে এ বছরের শুরুতে চাউয়ের ১৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। যার জেরে তিনি এখন কারাগারে। ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ জার্সিতে কোনো জুয়া খেলার প্রতিষ্ঠানের লোগো প্রদর্শন নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে।
দেখার বিষয়, মৌসুমের খেলা মাঠে গড়ানোর আগে জার্সির জন্য স্পন্সর খুঁজে পায় কিনা চেলসি। নয়তো পুরো জার্সি ফাঁকা রেখেই খেলতে হতে পারে ব্লুজদের।