সার আমদানির দায় মেটাতে ৩,৩১৬ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছে সরকার
সারের ভতুর্কি বাবদ বকেয়া দায় পরিশোধে দুই ব্যাংকের অনুকূলে মোট ৩ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ইস্যু করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরআগে গতকাল সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে সব পক্ষের মধ্যে সমোঝোতা স্মারক সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদি ধারের (রেপো) সমান সুদ পাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণ (এসএলআর) করতে পারবে ব্যাংক দুইটি। সার আমদানি বাবদ– সোনালী বাংকের কাছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের দায় মেটাতে ব্যাংক দু'টিকে বিশেষ এ বন্ড দেওয়া হয়।
সোনালী ব্যাংকে ৯ বছর মেয়াদি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৮ বছর মেয়াদে বন্ড ইস্যু করা হয়। চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে মোট ২০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এ দুই খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০টি ব্যাংকে ২৫ হাজার টাকার দায় রয়েছে। এর কিছু অংশ ইতোমধ্যে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে সারের ভর্তুকি বাবদ রয়েছে ১০ হাজার কোটি এবং বিদ্যুতের ভর্তুকি বাবদ রয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
তবে বিদ্যুৎ খাতের ১০ কোটি টাকার নিচের দায়ের ক্ষেত্রে বন্ড দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কারণে বিদ্যুতের ভর্তুকি বাবদ চলতি অর্থবছরে ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড জারির প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত জুন শেষে বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকি বাবদ সরকারের বকেয়া দাঁড়ায় প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে নগদ অর্থে পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়ায়– বন্ডের মধ্যমে দায় পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্যাংক ঋণের সমপরিমাণ বন্ড সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অনুকুলে ইস্যুর সিদ্ধান্ত হয়। তবে তাদের ব্যাংক ঋণ সরকারের কাছে পাওনার চেয়ে বেশি হলে– ভর্তুকির সমপরিমাণ বন্ড দেওয়া হবে।