রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
ছয়ে ছয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অপরাজিত যাত্রা অব্যাহত রইল। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সেমি ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। যা তাড়া করতে নেমে ১৫৬ তে থামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।
পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই। চাপের মুখে দারুণ এক ক্যাচে ম্যাচ প্রোটিয়াদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন দলের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। বৃথা গেছে ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনের লড়াই। এই জয়ে সেমি ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংলিশদের রানের চাকা আটকে রাখে প্রোটিয়ারা। এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ৬১। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন। দুজনের ৭৮ রানের জুটিতে ইংল্যান্ড জয় দেখছিল। কিন্তু ফুল টস বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে লিভিংস্টোন আউট হলে আবারও ম্যাচ হেলে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে।
তখনও ক্রিজে ছিলেন ব্রুক, কিন্তু এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠানোর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন এইডেন মার্করাম। পেছন দিকে দৌড়ে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৩৭ বলে ৭ চারের মারে ৫৩ রান করেন ব্রুক। লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ বলে ৩৩ রান।
শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি স্যাম কারেন ও জোফরা আর্চার। আনরিখ নর্কিয়া ওভার থেকে মাত্র ৬ রান তুলতে পেরেছে ইংল্যান্ড। আর তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতেছে ৭ রানের ব্যবধানে। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন রাবাদা ও মাহারাজ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার রিজা হেন্ড্রিকস আর কুইন্টন ডি কক গড়েন ৮৫ রানের জুটি। যেখানে ডি কক একাই খেলেছেন আদতে। মাত্র ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, সেখানে হেন্ড্রিকস ১৯ রান করতেই খেলেছেন ২৫ বল। ডি কক আউট হওয়ার আগে করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৬৫ রান, চারটি করে চার ও ছয় মেরেছেন তিনি।
এরপর গতি হারায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। হেনরিখ ক্লাসেন, এইডেন মার্করাম কিংবা ট্রিস্টান স্টাবসদের ব্যাট হাসেনি। ডেভিড মিলার ২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলায় দলীয় সংগ্রহ ১৬০ এর ঘর পার হয়। ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জোফরা আর্চার। ৪০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি পেসার।