ট্রাম্পের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা টিকটকের
চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটকের সঙ্গে আমেরিকানদের সব লেনদেন বন্ধের ঘোষণার পর প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের শাস্তিমূলক এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবে।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্যে হুমকি বিবেচনা করে মার্কিন প্রশাসন টিকটকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সঙ্গে আমেরিকানদের সব ধরনের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দেয়ার প্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিল টিকটক।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস এর এক খবরে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। আদেশে ৪৫ দিনের মধ্যে আমেরিকানদের বাইটড্যান্সের সঙ্গে সব ধরণের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে টিকটকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা গত প্রায় এক বছর ধরে সমস্যার সমাধানের জন্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে।
"কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব রয়েছে এবং এটি এমন একটি প্রশাসন যারা সত্যের দিকে মনোযোগ দেয় না।"
টিকটকের মুখপাত্র বলেছেন, "আইনের শাসন যেন বিনষ্ট না হয় এবং প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের সাথে যেন ন্যায্য আচরণ করা হয় তা নিশ্চিত করতে বিচারিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে দেয়া আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।"
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টিকটকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে।
ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সংস্থাটি আমেরিকান ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকারের কাছে সরবরাহ করতে পারে। যদিও বাইটড্যান্স এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই ছোট ভিডিও তৈরির অ্যাপের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি।
ট্রাম্প বলছেন, চীন অ্যাপটি দিয়ে ফেডারেল কর্মীদের অবস্থান ট্র্যাক করতে, ব্ল্যাকমেইলের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে বা সংস্থাগুলির উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে সক্ষম।
নির্বাহী আদেশে তিনি দাবি করেন, সংগৃহীত এসব তথ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে আমেরিকানদের ব্যক্তিগত এবং মালিকানা সম্পর্কিত তথ্যে প্রবেশের অনুমতি দেবে।
তবে টিকটক বলেছে, তারা কখনই মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষেও হাতে দেয়নি। আর চীনা কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের এ নিষেধজ্ঞাকে রাজনৈতিক বলে এর তীব্র সমালোচনা করেছে।
এদিকে কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ভারতও টিকটকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং অষ্ট্রেলিয়াও ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।