মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনে হামলা: হোয়াইট হাউসের উচ্চপদস্থ চার কর্মকর্তার পদত্যাগ
হোয়াইট হাউসের সাবেক কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ও প্রেস সেক্রেটারি এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের বর্তমান চিফ অফ স্টাফ স্টেফানি গ্রিশাম পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্প সমর্থকেরা মার্কিন কংগ্রেস ভবন হামলার প্রাক্কালে বুধবার দুপুরে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা।
হোয়াইট হাউসের সোশ্যাল সেক্রেটারি অ্যানা ক্রিস্টিনাও বুধবার পদত্যাগপ্ত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গ্রিশাম এবং অ্যানা উভয়েই ট্রাম্প প্রশাসনে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তাদের অন্যতম।
"হোয়াইট হাউসের হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। মিসেস ট্রাম্পের সাথে শিশুদের সহায়তা করার মত মিশনের অংশ হতে পেরেও আমি গর্ববোধ করছি"- এক বিবৃতিতে সিএনএনকে জানান গ্রিশাম।
তবে পদত্যাগ বিষয়ে ফার্স্টলেডির অফিস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পদত্যাগ নিয়ে মন্তব্য করেননি হোয়াইট হাউসের সোশ্যাল সেক্রেটারি অ্যানা ক্রিস্টিনাও ।
এদিকে ক্যাপিটলে সহিংসতার জের ধরে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউও পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অংশ হতে পেরে গর্বিতবোধ করলেও এক বিবৃতিতে তিনি জানান, আজকের ঘটনায় তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন।
"আমাদের জাতির জন্য শান্তিপূর্ণভাবে একটি ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রয়োজন", বিবৃতিতে যোগ করেন সারাহ।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় পদত্যাগের তালিকায় সর্বশেষ সংযুক্তি হোয়াইট হাউসের উপ-জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা ম্যাট পটিংগার। পটিংগারের কাছের একজন সিএনএনকে এটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিবেচনা করার মত বিশেষ কিছু তাঁর পক্ষে অবশিষ্ট ছিল না।
সহিংসতার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্লিপ্ত আচরণ দেখে হোয়াইট হাউসের আরও অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাই পদত্যাগের চিন্তা করছেন বলে শোনা যায়। এ তালিকায় যোগ হতে পারে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রায়েন এবং ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ক্রিস লিডেলের নামও।
ট্রাম্প প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ১৪দিন বাকি। ২০ জানুয়ারির আগেই হোয়াইট হাউসে অনেক কর্মকর্তার শেষ কর্মদিবস হবে, তারা চলেও যাবেন কিন্তু এ মুহূর্তে এদের অধিকাংশই প্রেসিডেন্টের আচরণে বিরক্ত। গ্রিশামের পদত্যাগের সাথে উচ্চপদস্থ আরো অনেক কর্মকর্তাই হয়তো তাই পদত্যাগ তালিকায় নাম লেখাবেন। ক্ষমতার একেবারে শেষের ক'টা দিনে ট্রাম্পকে যে প্রিয় অফিসে একাই কাটাতে হবে সেটি ক্যাপিটল হিলের সহিংসতার ঘটনার পর এখন অনেকটাই অনুমেয়।