আয়ু ফুরালে কী হবে লক্ষ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির?
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ২০৩৫ সাল নাগাদ শতভাগ জিরো-এমিশনের নতুন গাড়ি বিক্রি করতে। কিন্তু তাতে করে সমস্যাটা হবে লাখ লাখ বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির। সেগুলো তো আর কোনো কাজেই আসবে না। তাহলে কী অপেক্ষা করছে তাদের ভাগ্যে?
বর্তমানে বাজারে রয়েছে প্রকাণ্ড সব বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি। যেমন টেসলার ব্যাটারিটির ওজনই প্রায় ৯০০ পাউন্ড। যখন তৈরি করা হয়, তখন আশা করা হচ্ছিল সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হবে, পরবর্তীতে হবে রিসাইকেলও। কিন্তু একবার যখন শতভাগ জিরো-এমিশনের লক্ষ্য অর্জিত হবে, তখন ওইসব ব্যাটারি এবং সেগুলো থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক, সবারই শেষ ঠিকানা হতে পারে ময়লার ভাগাড়ে।
বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় কোনো বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির (ইভি-ব্যাটারি) রিসাইক্লিং কারখানা নেই। পুরো দেশজুড়েও এমন কারখানা রয়েছে মাত্র পাঁচটি। অথচ ব্যবহৃত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে এমন মূল্যবান সব মিনারেল থাকে, যেগুলো কোনো কাজে ব্যবহার না করলে অবশ্যই মাটিতে পুঁতে ফেলা জরুরি।
"এখনো এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, যারা (কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাওয়া) ব্যাটারি সম্পর্কে তেমন ভালো ধারণা রাখে না যে সেগুলোকে ঠিকভাবে সামলাবে," বলেন সিগনাল হিল'স রিজুল ইনকরপোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জোরা চুং।
"দিনশেষে, আমাদের প্রয়োজন আরো বেশি শিক্ষা, এবং এমন কার্যকর একটি বাজার, যেখানে এসব ব্যাটারিকে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।"
চুংয়ের ইভি-ব্যাটারি ডায়াগনস্টিক কোম্পানিটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাইলট প্রজেক্ট চালু করেছে। প্রজেক্টটির লক্ষ্য ব্যবহৃত ব্যাটারিকে সৌরশক্তি সংরক্ষণের কাজে লাগানো। এতে করে ব্যাটারিকে তার প্রথম মেয়াদের পরও অন্তত আরো এক দশক ব্যবহার করা যাবে।
রিজুলের এই প্রজেক্ট থেকে বোঝা যায়, ইভি-ব্যাটারির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলে সচেতনতা কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাদের প্রগতিশীল পরিবেশগত নীতিমালার কারণে ক্যালিফোর্নিয়াতেই বর্তমানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বৈদ্যুতিক গাড়ির ৪২ শতাংশ। কিন্তু তারপরও, বিগত কয়েক বছর ধরেই সেখানকার আইনপ্রণেতারা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নেতিবাচক পরিণামের ব্যাপারে সরব রয়েছেন।
২০১৮ সালে আইন হিসেবে পাসকৃত অ্যাসেম্বলি বিল ২৮৩২-মোতাবেক বৈদ্যুতিক গাড়ির একটি উপদেষ্টা দল গঠন করা হয়েছে। তাদের উপর দায়িত্ব এটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় যে রাজ্যের প্রায় শতভাগ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিকেই যেন পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল করা হচ্ছে।
১৯-সদস্য বিশিষ্ট দলটিতে রয়েছেন আইনপ্রণেতা, গাড়ি প্রস্তুতকারক, বর্জ্য ও রিসাইক্লিং বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদী এবং একটি ব্যাটারি বাণিজ্য গোষ্ঠী। আড়াই বছর কাজ করার পর গত ডিসেম্বরে তারা একটি খসড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা জনসাধারণের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করবে। এরপর ডকুমেন্টটি ফাইনাল করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে আইনসভা বরাবর।
কিন্তু অনেকেই বলছে, এসব প্রস্তাবনা কেবল শুরু। খসড়া প্রতিবেদনটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর পরস্পর সাংঘর্ষিক এমন সব অভিমত নেওয়া হয়েছে যে, সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাবনা অনুমোদিত হওয়া প্রায় অসম্ভব।
"প্রতিবেদনটিতে বেশ কিছু নীতিমালাগত সমাধানের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোতে অতীতে ক্যালিফোর্নিয়াসহ গোটা বিশ্বেরই বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটারিসহ অন্যান্য দ্রব্যের ক্ষেত্রে সফলতার মুখ দেখেছে," জানিয়েছেন প্যানেলের সদস্য নিক ল্যাপিস। তিনি সেখানে অলাভজনক পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ক্যালিফোর্নিয়ানস অ্যাগেইনস্ট ওয়েস্টের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
তিনি আরো বলেন, "অবশ্য আমার মনে হয়, যে নীতিমালাগুলো আসলেই সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতো, সেগুলোর ব্যাপারেই ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।"
সামনে যেসব সমস্যা
ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০২০ সালের শেষ নাগাদ ৬,৩৬,০০০ লাইট-ডিউটি, জিরো-এমিশন গাড়ি ছিল। ক্যালিফোর্নিয়া এনার্জি কমিশনের ট্যালিতে রয়েছে ৩,৬৯,০০০ বৈদ্যুতিক গাড়ি, ২,৫৯,০০০ প্লাগ-ইন হাইব্রিড এবং ৭,০০০ ফুয়েল সেল গাড়ি।
যদিও এ সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো রাজ্যের চেয়ে বেশি, কিন্তু তারপর ক্যালিফোর্নিয়ার সর্বমোট লাইট-ডিউটি গাড়ির মাত্র ২.৩ শতাংশ।
ক্যালিফোর্নিয়া যদি ২০৩৫ সালের মধ্যে শতভাগ লাইট-ডিউটি, জিরো-এমিশন গাড়ির বিক্রি নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদেরকে এ ধরনের গাড়ি বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে হবে। (উল্লেখ্য, তাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০৪৫ সাল নাগাদ মিডিয়াম- ও হেভি-ডিউটি ট্রাকের বিক্রি নিশ্চিত করা।)
২০১৯ সালে, মহামারি এসে নতুন গাড়ির নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার আগে, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০ লাখ নতুন গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। এর অর্থ হলো, শতভাগ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হলে আগামী ১৩ বছর ধরে সেখানে বার্ষিক ২০ লাখের মতো নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সকল নাগরিকের জন্য জিরো-এমিশন গাড়ির ব্যবস্থা করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা এখানে গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রির পাশাপাশি আরো কিছু আনুষঙ্গিক ব্যাপারও থাকবে। যেমন : বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারকারী সবার বাসস্থান বা অ্যাপার্টমেন্টে চার্জিং পয়েন্ট যুক্ত করা।
তবে তারপরও, ওইসব গাড়ির ব্যাটারির পুনর্ব্যবহার ও রিসাইক্লিংয়ের চ্যালেঞ্জ আরো বড়। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত-ব্যাটারির বাজার তৈরি ও সেগুলো ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে খুব বেশি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে এ কথাও ভুলে গেলে চলবে না যে সবে এক যুগ ধরে বৈদ্যুতিক গাড়ি রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। তাই এখন পর্যন্ত আয়ু ফুরিয়ে যাওয়া ইভি-ব্যাটারির সংখ্যা খুব বেশি নয়।
যেসব ইভি-ব্যাটারির আয়ু ফুরিয়েছে, তাদেরকে খুব গভীরভাবে ট্র্যাক করা হয়নি। তাই এ ব্যাপারটিও এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয় যে ওইসব ব্যাটারির ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী হয়। একটি সম্ভাব্য চিত্র হলো বুড়ো হয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোকে নিলামে তোলা, যেখান থেকে সেগুলোকে কোনো ভাঙারি কিনে নিয়ে যায় পার্টসগুলোর আশায়।
"হতে পারে ওইসব ব্যাটারিকে জমিয়ে রাখা হয়েছে, অর্থনীতির অবস্থা ভালো হলে রিসাইকেল বা রিসেল করা হবে," অ্যালিসা কেনড্যাল নামের ইউসি ডেভিসের একজন প্রকৌশল বিষয়ের অধ্যাপক জানান। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সেই প্রতিবেদনটিরও প্রধান লেখক।
কিংবা এমনও হতে পারে যে ব্যাটারিগুলোকে রিসাইকেল করে রাজ্যের বাইরে, কিংবা এমনকি দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো শখের সংগ্রাহকের বাড়িতে সেগুলোর আশ্রয় পাওয়াও নেহাত অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
"কিন্তু নিশ্চিতভাবে আমরা কিছুই জানি না," কেনড্যালের দাবি।
প্রতিবেদনটিতে আশা করা হয়েছে যে ভবিষ্যতে ব্যবহৃত ব্যাটারিগুলোকে প্রথমে কাজে লাগানো যেতে পারে বিদ্যুৎ, যেমন সৌরশক্তি সংরক্ষণে। তাহলে কয়েকদিন ধরে সূর্য না উঠলেও সৌরশক্তির অভাব পড়বে না।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একটি ব্যাটারি যদি গাড়িকে একবার চার্জের পর আশানুরূপ মাইলেজ দিতে না পারে, তারপরেও সেটিকে অন্তত আরো এক দশক বিদ্যুৎ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে পাইলট প্রজেক্ট অনুযায়ী, চূড়ান্ত লক্ষ্য অবশ্যই ব্যাটারির রিসাইকেল করা।
রিসাইকেল করার একটি পদ্ধতি হতে পারে পায়রোমেটালার্জিকাল স্মেল্টিং প্রসেস, যার মাধ্যমে ব্যাটারির ক্যাথোড থেকে মূল্যবান মিনারেলগুলো বের করে আনা যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, স্মেল্টিং প্রসেসে কেবলই ব্যাটারির উপাদানগুলোর খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করা যাবে। মূল্যবান লিথিয়ামের কিছুই পাওয়া যাবে না। এর ফলে ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণের আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
তাই মিনারেল উদ্ধার ও পরিবেশগত সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে একটি আরো ভালো উপায় হতে পারে হাইড্রোমেটালার্জিকাল কেমিক্যাল লিচিং প্রসেস।
তবে প্রযুক্তির বিবর্তনের মাধ্যমে দিনদিন নতুন নানা ধরনের উপায় আবিষ্কৃত হলেও, আরো বড় একটি প্রতিবন্ধকতার নাম ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবেশ নীতিমালার কড়াকড়ি — বিশেষত ব্যাটারির একটি বিপজ্জনক বর্জ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কারণে।
বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনুমতি পেতে গড়ে দুবছর সময় লাগে। সর্বশেষ বিপজ্জনক ব্যবস্থাপনাটির অনুমোদনও দেওয়া হয় আট বছর আগে। তাই প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দলটির কাছে কোনো সাম্প্রতিক মডেলই নেই যা তারা অনুসরণ করতে পারবে।
"আমার মনে হয় ব্যাটারি রিসাইকেল করার বিষয়টি প্রযুক্তিগত দিক থেকে যতটা না, তারচেয়ে নীতিগত দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক দূরবর্তী একটি ব্যাপার," জানান প্যানেলটির প্রধান উপদেষ্টা এবং ইউসি ডেভিসের গবেষক হানজিরো অ্যামব্রোস।
নেই কোনো আশু সমাধান
ইভি-ব্যাটারি ট্র্যাকিংয়ের কোনো পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া যেমন নেই, ঠিক তেমনই কোনো ব্যবস্থা নেই সেগুলোর সংগ্রহকে সমন্বয় করারও। তাই একবার ওয়ারেন্টির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে গাড়িগুলো কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, বিক্রি বা ফেলে দেওয়া হচ্ছে, তারও কোনো হদিস পাওয়া কঠিন।
যতদিন পর্যন্ত নিঃশেষিত ব্যাটারি ট্র্যাকিংয়ের কোনো ব্যবস্থা না হবে, ততদিন ওইসব ব্যাটারি অনিরাপদে বা অবৈধভাবেই ফেলে রাখা হবে, অথবা দেশে বা দেশের বাইরে ভুলভাবেই সেগুলো দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।
উপদেষ্টা দলটি তাই পরামর্শ দিয়েছে, অবশ্যই যেন নিশ্চিত করা হয় যে ব্যাটারিগুলোকে আয়ু ফুরানোর পর পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল করা হচ্ছে। যতদিন ব্যাটারির ওয়ারেন্টি থাকবে, ততদিন সে দায়িত্ব বর্তাবে ব্যাটারি সাপ্লাইয়ারের কাঁধে। আর যখন গাড়ির মেয়াদ ফুরাবে, তখন সে দায়িত্ব পড়বে ভাঙারির উপর, অথবা গাড়িটি কোনো ভাঙারির কাছে না গেলে সেটির উৎপাদনকারীর উপর।
তবে গাড়ির উৎপাদনকারী নিঃশেষিত ব্যাটারির দায়িত্ব নেবে ও খোঁজখবর রাখবে, এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি উপদেষ্টা দলটির অধিকাংশ সদস্যই।
গাড়ি কেনার সময়ই পরিবেশগত হ্যান্ডলিং ফি আরোপের একটি প্রস্তাবনাকেও একইভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
অন্যান্য অনুমোদিত পরামর্শের মধ্যে রয়েছে : ব্যাটারির গায়ে লেবেলিং লাগানো যেন রিসাইক্লার বুঝতে পারে ভেতরে ঠিক কী আছে; রিসাইক্লারকে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়া; এবং স্থানীয়ভাবেই ব্যাটারি উৎপাদন, যেহেতু বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাটারিই তৈরি হয় দেশের বাইরে।
এই বিশাল বিশাল সব ব্যাটারি বিদেশ থেকে আমদানির ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি হয়। তাছাড়া ব্যাটারির কাঁচামাল তৈরি করাকে কেন্দ্র করে বিদেশে বিভিন্ন পরিবেশগত ও শ্রমজনিত সমস্যারও উদ্ভব ঘটেছে। খনির বিপজ্জনক পরিবেশে শিশুদের কাজে লাগানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।
কিন্তু ৮৯ পাতার প্রতিবেদনটিতে এসব সমস্যার কোনো আশু সমাধানই দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া ইতোমধ্যেই রিজুল তাদের পাইলট প্রজেক্টের অধীনে যেসব কার্যক্রম শুরু করেছে, সেগুলোরও খুব বেশি উপকারিতা এখন অবধি দৃশ্যমান হয়নি।
তারপরও ইভি-ব্যাটারির নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য ভরসা রাখতে হচ্ছে রিজুলের উপরই। তারা এ ধরনের ব্যাটারির পুনঃব্যবহারের পথে যেসব প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করেছে, সেগুলোর অধিকাংশ প্রযুক্তি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সংক্রান্ত হলেও, সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চুং কিছুটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন।
"আমরা এখনো অনুমতি গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করিনি, কিন্তু আমি বিভিন্ন সূত্র থেকেই জানতে পেরেছি যে সেটি একটি বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা হতে চলেছে।"
নিজেদের স্বার্থেই যদি ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নিয়ম-নীতিমালাকে শিথিল করে, তাহলে তারা শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারেই এক নম্বরে থাকবে না, গোটা বিশ্বের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে ইভি-ব্যাটারির বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও।
- সূত্র: দ্য অরেঞ্জ কাউন্টি রেজিস্টার