সুস্থ পশু চেনার উপায়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অসুস্থ পশু কোরবানি করা যায় না। তাই কোনো পশু কেনার আগে সেটির সুস্থতা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
কোনো পশু সুস্থ কি না, সেটি বোঝার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এটি বলেছে, প্রাথমিকভাবে দেখতে হবে পশুটি সর্বদাই লেজ নাড়িয়ে মশা-মাছি তাড়াতে ব্যস্ত কি না এবং কিছুক্ষণ পর পর নড়াচড়া করছে কি না।
সুস্থ পশু খাবার দিলে তা স্বাভাবিকভাবে খাবে ও অবসর সময়ে জাবর কাটবে।
অধিদপ্তর আরও বলেছে, গর্ভবতী পশু কোরবানি দেওয়া যায় না। তাই কেনার আগে সেটি নিশ্চিত হতে হবে। সুস্থ পশুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়, সেটিও দেখে নিতে হবে।
ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ পশুর চোখ বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে, নাকের নিচের কালো অংশ (মাজল) ভেজা ভেজা থাকবে, মনে হবে যেন ফোঁটা ফোঁটা শিশির জমেছে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে, অস্বস্তিতে ছটফট করবে না।
ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের পরামর্শ- গরু কিনতে চাইলে দেশিয় গরু কেনাই ভালো। কারণ সীমান্ত পার হয়ে আসা গরুগুলো অনেক দূর থেকে আসে বলে ক্লান্ত হয়। অনেক সময় সেগুলো ছোট-খাটো আঘাতপ্রাপ্তও হয়। আর দুর্বল গরু সুস্থ নাকি অসুস্থ সেটা বোঝা বেশ কষ্টকর।
পশু কেনার আগে এর শরীরের কোথাও ক্ষত আছে কি না পরীক্ষা করার পরামর্শও দেন তারা।
এতেও যদি কারও মনে হয় পশুটি পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে হাটগুলোতে রয়েছে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম। সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানই এই সেবা দিচ্ছে। তারা বেশকিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা করে থাকেন।
এর মধ্যে মূল যে পরীক্ষা করা হয়, সেটি হলো পশুর শরীরের তাপমাত্রা ও লালা। এ পরীক্ষা থেকেই কোনো পশু অসুস্থ কি না সেটি বোঝা যায়।
এর বাইরে পায়ে বা শরীরে কোনো ক্ষত আছে কি না, সেটি বোঝার জন্য পশুটিকে হাঁটা-চলা করিয়ে দেখা উচিত।
এছাড়া শিং ভাঙা আছে কি না, লেজ, মুখ, দাঁত, খুর এসব কিছুই পরীক্ষা করে দেখা উচিত। এ বিষয়গুলো খেয়াল করলেই কোনো পশু অসুস্থ কি না, সেটি খুব সহজেই বোঝা যায়।
গাবতলী বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নেক্সজেন ভেট কেয়ার অ্যান্ড সার্ভিসের চিকিৎসক অমিতাভ বিশ্বাস টিবিএসকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক ক্রেতা গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছে।'